বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্টে ১৩৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের লড়াইয়ে ১৭ রান তুলতেই শেষ দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৭২ রান। টাইগাররা ২৫৪ রানে পিছিয়ে আছে। তবে বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়লেও ভারতীয় দল সেটি না করে পুনরায় ব্যাট করতে নেমেছে।
টাইগারদের কেউ রানের সংখ্যায় ৩০ এর ঘরও পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানে অল আউট হয় ভারত। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ না করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর দলীয় ৫ রানে আউট হন ওয়ান ডাউনে নামা ইয়াসির আলি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস।
অভিষিক্ত জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ৩৯ রানে ৩০ বলে ২৪ রান করে আউট হন লিটন দাস। এরপর দ্রুতই আউট হন জাকির হাসান। দলীয় ৫৬ রানে ৪৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এরপর দলীয় ৭৫ ও ৯৭ রানে সাকিব আল হাসান ও নূরুল হাসান আউট হলে ফলোঅনে পড়তে যায় বাংলাদেশ। তাদের বিদায়ের পর দলীয় ১০২ রানে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫২ বলে ২৮ করে মুশফিক ও ৪ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা।
এরপর মেহেদী মিরাজ ও এবাদত হোসেন মিলে আর কোন বিপদ না ঘটিয়ে দিন শেষ করেন। মিরাজ ৩৫ বলে ১৬ ও এবাদত ২৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন। কুলদীপের বলে এবাদত আউট হন নতুন দিনে ৪ রান করার পর। মিরাজ কিছুক্ষণ টিকলেও খুব বেশি রান করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হন।
অপরদিকে, ভারতের হয়ে ৫টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। মোহাম্মদ সিরাজ পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল।