ভারতের মাটিতে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভারতকে হারানো চ্যাম্পিয়ন গানে নাচতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে জো রুটের অর্ধশতকে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করে ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে ক্যারিবিয়ানরা।
১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন হয় ক্যারিবিয়ানদের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ব্যাট হাতে স্ট্রাইকে ছিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাথওয়েট। অনেকেই ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচটা জিততে চলছে ইংল্যান্ড। তবে বেন স্টোকসের পর পর তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ব্রাথওয়েট।
হাতের নাগালে থাকা ম্যাচ ছিটকে যায় ইংল্যান্ডের কাছে থেকে। শেষ ৩ বলে ১ রান প্রয়োজন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ বলেও ছক্কা হাঁকিয়ে চ্যাম্পিয়ন গানের সঙ্গে পুরো ক্যারিবিয়ান দলের সঙ্গে নাচতে থাকেন ব্রাথওয়েট। অন্যদিকে এমন বেধড়ক মার খেয়ে হতাশায় মাথায় হাত দিয়ে মাঠেই বসে পড়েন স্টোকস।
এরপর সতীর্থরা এসে তাকে সান্ত্বনা দেন। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে হয়েছিলেন খলনায়ক। এরপর অবশ্য তার স্টোকস পাপ মোচন করেন ২০১৯ সালে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনবদ্য ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ এনে দেন বেন স্টোকস। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
তবে স্টোকসের হার না মানা ৯৮ বলে ৮৪ রানের ওপর ভর করে ম্যাচ টাই করে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড।
তবে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের ক্ষত থেকেই গিয়েছিল স্টোকসের মনে। আর তাই এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট হাতে দলকে শিরোপা এনে দিলেন স্টোকস। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
১৩৮ রানের মামুলি টার্গেটও পাহাড়সম করে দেন পাকিস্তানের পেসাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে স্টোকসের ঠান্ডা মাথার ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড। ১৬’তে খলনায়ক হয়েছিলেন যিনি ২২’এ তিনিই হলেন গল্পের মূলনায়ক।