বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচটি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। অবশেষে কাতারের দোহায় হামিদ বিন জসিম স্টেডিয়ামে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। আফগানরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার আগে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। অন্যদিকে জামাল ভূঁইয়াদের ভরসা শেখ জামালের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ।
দেশে দুর্বল প্রস্তুতি নিয়ে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কাতার থেকে ঠিকই জেতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হলে শতভাগ দিতে হবে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করলে আশা করি ৩ পয়েন্ট পাব ইনশাআল্লাহ।’ ফিটনেসে আফগানরা খানিকটা এগিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন অধিনায়ক, ‘আমার চেয়ে খেলোয়াড় অনেক লম্বা আছে ওদের। তবে আমরা ট্যাকনিক্যালি ভালো, এবং অনেক দ্রুতগতির ফুটবলার রয়েছে আমাদের।’
জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে আফগানদের প্রবাসী ফুটবলারদের বিষয়টি বিশেষভাবে বললেন, ‘তাদের দলে অনেক ফুটবলার ইউরোপে থাকে। তাদের মান বেশ ভালো।’ এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ এখনো জিততে পারেনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিংই মনে করছেন কোচ, ‘তারা শক্তিশালী দল। ম্যাচটি অনেক কঠিন হবে। ছেলেরা গত কয়েক সপ্তাহ কঠিন পরিশ্রম করেছে আমি আশাবাদী।’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড একটিই। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। সেই জয়ের পর আর জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। মাঝে অবশ্য কয়েকটি ম্যাচ ড্র করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জেমি ও জামালরা আফগানদের বিরুদ্ধে জিততে পারলে ৪২ বছরের আক্ষেপ ঘুচবে।
বাস্তবিক অর্থে সেই সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। কারণ, বাংলাদেশের ফুটবলে মূল সমস্যা স্ট্রাইকিং। সেই স্ট্রাইকিংয়ে নেই পরীক্ষিত ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র একটি গোল করেছে। সেই একমাত্র গোলদাতা সাদউদ্দিনও নেই ইনজুরির ছোবলে। সব মিলিয়ে ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে বেশ পরীক্ষার মধ্যেই পড়েছেন জেমি। আগের লেগে বাংলাদেশ তাজিকস্তানের দুশানবেতে আফগানদের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরেছিল।
আগামীকাল মুখোমুখি হবে দুই দল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। বাংলাদেশ থেকে সমর্থকরা সরাসরি দেখতে পারবেন বেসরকারি দুই টেলিভিশন চ্যানেল টি স্পোর্টস ও গাজী টিভিতে।