এক দিনের ক্রিকেটে নিজেদের বিশ্বরেকর্ড টপকে গেল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অইন মর্গ্যানের দল করল ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান। শতরান করলেন তিন জন।
নিজেদের বিশ্বরেকর্ডই টপকে গেল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এক দিনের ক্রিকেটে এত দিন সেটাই ছিল এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড। এক দিনের ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও ইংরেজদের দখলে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড করেছিল ৩ উইকেটে ৪৪৪ রান।
নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনার জেসন রয় (১) ব্যর্থ হলেও প্রথম থেকেই দুরন্ত গতিতে রান তোলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। অন্য ওপেনার ফিল সাল্ট করেছেন ৯৩ বলে ১২২ রান। তিনি ১৪টি চার এবং তিনটি ছয় মারেন। দাউইদ মালান করেছেন ১০৯ বলে ১২৫ রান। তিনি নয়টি চার এবং তিনটি ছয় মেরেছেন। সব থেকে বিধ্বংসী ছিলেন জস বাটলার। আইপিএল থেকে স্বপ্নের ছন্দে থাকা বাটলার ৭০ বলে ১৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন সাতটি চার এবং ১৪টি ছয়। এই ম্যাচেও ব্যর্থ অধিনায়ক মর্গ্যান (০)। ছয় নম্বরে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোন ২২ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত। ছয়টি চার এবং ছয়টি ছক্কা মারেন লিভিংস্টোন। বল প্রতি তিন রান করে নিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে সাল্ট এবং মালান তুলেছেন ২২২ রান। তৃতীয় উইকেটে মালান এবং বাটলার যোগ করেন ১৮৪ রান। প্রতি ওভারে গড়ে ৯.৯৬ রান তুলেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।
নেদারল্যান্ডের বোলার ফিলিপ বসিভ্যান ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ১০৮ রান। শ্যেন স্নাটার দিয়েছেন ১০ ওভারে ৯৯ রান। সফলতম বোলার পিটার সিলার ৮৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
এক দিনের ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০০৬ সালে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই শ্রীলঙ্কা করে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রান। এই তালিকার পঞ্চম থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২ উইকেটে ৪৩৯ রান করে প্রোটিয়ারা। যা এক দিনের ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। অষ্টম থেকে দশম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের নাম।