অথচ গল টেস্টে খেলার কথাই ছিল না প্রবাত জয়সুরিয়ার। করোনা আক্রান্ত হয়ে ছিটকে যান লাসিত এম্বুলদেনিয়া। এতেই কপাল খুলে বাঁহাতি এই স্পিনারের। অভিষেকও হয়ে গেলো। প্রথম ইনিংসে নেন ১১৮ রানে ৬ উইকেট। তার কল্যাণেই মার্নাস লাবুশেনে ও স্টিভেন স্মিথের অসাধারণ সেঞ্চুরির পরও অস্ট্রেলিয়ার স্কোর থামে ৩৬৪ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তো আরও খুনে মেজাজে। ৫৯ রান খরচ করেই নিলেন আরও ৬টি উইকেট। চার দিনেই অজিদের ইনিংস হারের লজ্জা দিয়ে গল টেস্ট জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে অভিষেকেই ১২ উইকেট শিকার। টেস্ট অভিষেকে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলিং ফিগার এখন প্রবাত জয়সুরিয়ার দখলে। এতদিন রেকর্ডটি ছিল প্রবীণ জয়াবিক্রমার। গত বছর পাল্লেকেলে টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আর বিশ্ব ক্রিকেটে এই রেকর্ডটি ভারতের নরেন্দ্র হিরওয়ানি ও অস্ট্রেলিয়ার বব ম্যাসির দখলে। দুজনই ১৬টি করে উইকেট নিয়েছেন।
গল টেস্টে আরও একটি রেকর্ড হয়েছে। প্রথম শ্রীলঙ্কান ব্যাটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন দিনেশ চান্দিমাল। তার ৩২৬ বলে ২০৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের ওপর ভর করেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানের বড় লিড পায় লঙ্কানরা। সেটি তাড়া করতে নেমে প্রবাত জয়সুরিয়ার তাণ্ডবে ১৫১ রানেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। এতে ইনিংস ও ৩৯ রানে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এই জয়ে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। এর আগে টি-টোয়েন্টি ২-১ ব্যবধানে জিতে অস্ট্রেলিয়া। পরে ওয়ানডে সিরিজ ২-৩ ব্যবধানে জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।