Image default
খেলা

আফ্রিকার রাজা সেনেগাল

বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সিনেমা চাক দে! ইন্ডিয়া। শুধু তাই নয়, ভারতের যে কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অবিচ্ছেদ্য অংশ সিনেমাটির ‘টাইটেল সং’। চাক দে! ইন্ডিয়ার সেই কবির খান যেন বাস্তব জীবনের আলিউ সিসে। যদিও চাক দে! ইন্ডিয়া সিসে দেখেছেন কি না কে জানে, তবে দেখলে হয়তো অবাকই হবেন।

২০ বছর আগে প্রথম বার আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের (আফকন) ফাইনালে উঠেছিল সেনেগাল। দলটির অধিনায়ক ছিলেন ২৫ বছর বয়সি সিসে।ক্যামেরুনের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে শেষ শট মিস করে খলনায়কে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর পর এসে এর দায় মোচন করলেন সিসে। কোচ হয়ে সেনেগালকে প্রথম বারের মতো বানিয়েছেন আফ্রিকার রাজা। ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে গতকাল টাইব্রেকারে মোহামেদ সালাহর মিসরকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপায় চুমু খায় সোনালি প্রজন্মের সেনেগাল।

ইতিহাস গড়ার পর কোচ সিসের কণ্ঠে তাই ফুটে উঠল গর্ব, ‘আমি আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন। অনেক লম্বা, কঠিন, মাঝেমধ্যে জটিল পথও পাড়ি দিতে হয়েছে। আমরা কখনোই হার মানিনি। আমি এই জয় সেনেগালের জনগণকে উত্সর্গ করছি। অনেক বছর ধরে আমরা এই ট্রফিটি তাড়া করেছি। আজ (গত পরশু) আমরা নিজেদের জার্সিতে তারা লাগাতে পারব।’

সেনেগালের হয়ে শেষ শটে গোল করেন অধিনায়ক সাদিও মানে। শটটি মিস করলে খলনায়ক তো হতেনই, দুই বার পেনাল্টি মিস করার শাস্তি হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেন নিজেকেই। ম্যাচের ৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ সুযোগ পায় সেনেগাল। ঠিক জায়গায় ঝাঁপিয়ে মানের সেই শট ঠেকান মিশরের গোলরক্ষক গাবাস্কি। এখানে অবশ্য মানের লিভারপুল সতীর্থ সালাহর অবদানও কম নয়। পেনাল্টির আগে গাবাস্কির কানে মন্ত্র জপে দেন এই ফরোয়ার্ড।

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় খেলা। টাইব্রেকারে এসে আর সেই ভুল করেননি মানে। মিশরের হয়ে সালাহ শেষ শট নেওয়ার আগেই রাতটিকে জীবনের সবচেয়ে সেরা রাতে পরিণত করেন সেনেগাল অধিনায়ক। 

Source link

Related posts

2025 নম্বর 1 এনএফএল ড্রাফ্ট পিক অডস: কার্সন বেক শেডেউর স্যান্ডার্সকে পছন্দের হিসাবে ছাড়িয়ে গেছে

News Desk

এনএফএল ড্রাফট নাটকের পরে ফ্যালকনরা নাথান রউর্কের জন্য জায়ান্টদের জন্য একটি আশ্চর্য প্রতিযোগী ছিল

News Desk

ব্রায়ান ব্যাটে ফিরে আসা অবার্নের শুটিংয়ে গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন

News Desk

Leave a Comment