এই তো কদিন আগেও বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, তার চোখে আগামীর সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলারদের একজন হাসান মাহমুদ। গতির ঝড় তুলে ২০২১ সালেই ওয়ানডে, টি-২০ অভিষেক হয়েছিল ২২ বছর বয়সী এ তরুণের। দুর্ভাগ্যক্রমে ইনজুরিতে পড়ে গত বছর মার্চে ওয়ানডে সিরিজের পর পরই নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরতে হয়েছিল হাসানকে।
তারপর প্রায় বছর গড়িয়ে গেছে। এই সময়ে টি-২০ বিশ্বকাপসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয়টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু গতিময় এই তরুণ ফাস্ট বোলার কি না অভিশপ্ত সেই ইনজুরির মূল উৎস জানলেন এক বছর পর!
কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্ট, স্ক্যান, ইনজেকশন দিয়ে দেশে চলেছে হাসানের চিকিৎসা পর্ব। এত কিছুতেও হাসানের ইনজুরিটা ধরা পড়েনি ঢাকায়। গত বছর বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ থেকে বলা হয়েছিল, ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরিতে ভুগছেন হাসান। কোমরের নিচের দিকে ব্যথা।
কিন্তু লন্ডনে গিয়ে হাসান জানলেন, তার স্পাইনাল কর্ডে (মেরুদণ্ড) চিড় ছিল। নিউজিল্যান্ডেই তার স্পাইনাল কর্ডের এল ফোর’এ ইনজুরিটা হয়েছিল, যার ব্যথায় বোলিং করতে পারতেন না তিনি। যেটি ঢাকায় ধরা পড়েনি।
মজার বিষয়, এখন সেই ইনজুরি ভালো হয়ে গেছে। হাঁড়ের চিড় জোড়া লেগে গেছে এতদিনে। চিকিৎসক তাকে পুরোদমে বোলিং শুরু করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীসহ লন্ডনে গিয়েছেন হাসান। ২৭ জানুয়ারি লন্ডনের ফর্টিয়াস ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড্রামিয়েন ফাই’র সঙ্গে দেখা করেন ডানহাতি এ পেসার। এমআরআই করা হয় তার স্পাইনাল কর্ডের। রিপোর্টে সবকিছু ভালোই এসেছে। ধীরে ধীরে সেই চিড় জোড়া লাগার বিষয়টি জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। এখন খেলায় ফিরতে আর বাধা নেই হাসানের।
কোনো সমস্যা না থাকায় আজই (২ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফিরছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। গতকাল মঙ্গলবার ইনজুরির সর্বশেষ জানতে চাইলে লন্ডন থেকে হাসান বলেছেন, ‘আমার রিপোর্ট ভালো এসেছে। সমস্যা নেই, সব স্বাভাবিক। ডাক্তার বোলিং করতে বলেছেন। দেশে ফিরে পুরোদমে কাজ শুরু করবো ইনশাআল্লাহ, দোয়া করবেন।’ বিপিএলে খেলতে না পারলেও আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ দিয়ে খেলায় ফেরার আশা করছেন হাসান।