ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারবে সেটা অনুমিতই ছিল। দুই দেশের শক্তির পার্থক্য ওমান প্রমাণ করেছিল প্রথম লেগের ম্যাচে ৪-১ জিতে। শেষ ম্যাচে সবার কৌতূহল ছিল ওমানকে কত গোলে আটকিয়ে রাখা যায় সেটা দেখার। দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের রক্ষণের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়ে ওমান ম্যাচ জিতেছে ৩-০ গোলে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ৩-০ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এদিকে ইনজুরি আর কার্ডের কারণে নিয়মিত একাদশের পাঁচজন ছিল না। ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ছিল তারুণ্যনির্ভর দল। মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলাররা ওমানের আক্রমণ ঠেকিয়েই সময় পাড় করেছে। ২২ মিনিটে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে ওমান এগিয়ে যায় আল গাফরির গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোলই করেছেন ওমানের আল হাজরি। ওমানের জয়ের ব্যবধান এর দ্বিগুণ হলেও অবাক হওয়ার ছিল না। দুইবার গোললাইন সেভ করেছেন ইব্রাহিম, পোস্ট আর ক্রসবারে লেগে বল ফিরেছে চারবার।
গোটা ম্যাচে গোল করার মতো একটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কর্নার থেকে ইয়াছিন আরাফাতের দারুণ হেড কর্নারের মাধ্যমে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন ওমানের গোলরক্ষক। ৮ ম্যাচে ২ ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্ব শেষ করল বাংলাদেশ। ৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান পঞ্চম। আর ওমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ২২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কাতার। ভারত ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়, আফগানিস্তান চার নম্বরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে।