বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী এক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে ইনডোর। এর মধ্যেই ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর ছাড়া সাগরিকা স্টেডিয়াম চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও বিপিএলের কারণে কাজ চলেছে ধীরগতিতে। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ইনডোরের কাজ। এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে মাঠে অনুশীলন সম্ভব না হলে ইনডোরেও অনুশীলন করতে পারছেন না ক্রিকেটাররা।
স্টেডিয়ামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে। জাইকার মাধ্যমে দুটি টার্ফ এসে গেছে। মোট চারটি টার্ফ আসবে। কাজ সম্পন্ন হলে ইনডোরসহ পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে রূপ নেবে সাগরিকা।
মূলত চট্টগ্রাম আউটার লিংক রোড ভাটিয়ারী থেকে শুরু হয়ে সাগরিকার স্টেডিয়াম ঘেঁষে পতেঙ্গায় পড়েছে, যা কি না কর্ণফুলী ট্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ট্যানেলের ভেতর দিয়ে আনোয়ারা হয়ে কক্সবাজারেও যাবে। এই রাস্তার ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং এক জায়গায় নির্মিত হচ্ছে, যেখানে এক সময়ে ইনডোর ছিল। ফ্লাইওভার তৈরি করতে গিয়ে সিডিএ স্টেডিয়ামের ভূমি অধিগ্রহণ করেছিল। সেখানে পুরাতন ইনডোরটি ছিল। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে এতে। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে চারটি উইকেট থাকবে। গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিসিবিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সিডিএ এর। কিন্তু এর এক বছর পরেও সেটি পারেনি সংস্থাটি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল গতকাল বলেছেন, ‘ইনডোরের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ইনডোরে অনুশীলন করতে পারবেন খেলোয়াড়রা। আমাদের ইনডোরের ছাউনিসহ বেশির ভাগ কাজ প্রায় শেষ। ইনডোরে চারটি উইকেট থাকবে। সেখানে চারটি টার্ফের মধ্যে ইতিমধ্যে দুটি চলে এসেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি দুটি টার্ফও চলে আসবে।’
আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে না হলেও তারপরের সিরিজ থেকে সাগরিকার অবকাঠামো পূর্ণতা পাবে।