স্পেনের কাছে ৭ গোল হজম করা কোস্টারিকা ঘুরে দাঁড়ালো দ্বিতীয় ম্যাচেই। জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা। কোস্টারিকার জয়ে জমে উঠেছে ‘ই’ গ্রুপের লড়াই। স্পেন, জাপান, কোস্টারিকা- তিন দলেরই এখন সমান ৩ পয়েন্ট। আজ রাতে যদি জার্মানি স্পেনকে হারিয়ে দেয় তাহলে গ্রুপ জমে একেবারে ক্ষীর হয়ে যাবে।
কোস্টারিকার পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ডিফেন্ডার কেইশার ফুলার। পুরো ম্যাচে আর জাপানের গোলমুখে আর একটি শটও নিতে পারেনি কোস্টারিকা। মজার ব্যাপার হলো, চলতি আসরে দুই ম্যাচ মিলিয়ে কোস্টারিকা এই একটি শটই নিতে পেরেছে প্রতিপক্ষের গোলমুখে।
জাপানকে দুর্ভাগা বলতেই হবে। ৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় দলটি। তিনটি ছিল লক্ষ্যে। তিনটি শটই ঠেকিয়ে দিয়েছেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
যার দুটি ছিল বক্সের ভেতর থেকে।
জার্মানির বিপক্ষে ৮টি সেভ দিয়েছিলেন জাপানের গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডা। আজ একমাত্র চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হলেন তিনি। তাতে প্রথমবার কোস্টারিকার কাছে হারলো জাপান। এর আগে মধ্য আমেরিকার দেশটির বিপক্ষে চার ম্যাচে তিন জয় ও একটিতে ড্র করেছিল জাপান।
জাপানকে হারানোর সুবাদে একটি রেকর্ডও গড়েছে কোস্টারিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোস্টারিকা মাত্র দ্বিতীয় দল, যারা কোনো ম্যাচে ৭ গোল খাওয়ার পর পরের ম্যাচে জিতেছে। সবশেষ এমনটি করে দেখিয়েছিল প্যারাগুয়ে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে ৭-৩ গোলে হারার পর স্কটল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল তারা।