এই জার্মানির কাছে ফাইনালে হেরেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছিল লিওনেল মেসির। যার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল দলটি, সেই কোচ জোয়াকিম লো চলে যাচ্ছেন। তবে তার জায়গায় আসছেন এমন একজন, মেসিকে হারানোয় সিদ্ধহস্ত যিনি। মেসির বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বায়ার্ন মিউনিখ কোচ হ্যান্সি ফ্লিক আসছেন দলটির দায়িত্বে।
তিনিই যে জার্মান জাতীয় দলের কোচ হচ্ছেন, এ বিষয়টা আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে শেষ কিছু দিনে বার্সেলোনা আর টটেনহ্যামের যোগাযোগের গুঞ্জন কিছুটা শঙ্কার চাদরে মুড়ে দিচ্ছিল বিষয়টাকে। তাই জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও বিষয়টাকে আর লুকোছাপার মধ্যে রাখেনি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে, বায়ার্ন মিউনিখের এই কোচকেই ইউরোর পর থেকে দায়িত্ব দিচ্ছে তারা।
গত মার্চে বর্তমান কোচ জোয়াকিম লো জানিয়েছিলেন, ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর এবার তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। ইউরো শেষেই দল ছাড়বেন তিনি। এরপর থেকেই প্রশ্ন ছিল, ইউরো শেষে জার্মানির দলের কোচ হচ্ছেন কে? সে প্রশ্নের জবাব মিলে গিয়েছিল এপ্রিলেই। আজ মঙ্গলবার এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
এরপর প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জার্মানির নতুন কোচ বললেন, ‘দ্রুত সব ঘটে গেল সবকিছু, চোখের পলকেই যেন। আসছে শরৎ থেকে জার্মানির কোচ আমি, আমার আর তর সইছে না। সেখানকার খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে তরুণদের মান কেমন তা আমি জানি।’
জার্মানির পুরনো খেলোয়াড়দেরও কি কম চেনেন ফ্লিক? ২০১৪ বিশ্বকাপে মেসির স্বপ্নভঙ্গের নেপথ্য কারিগর তো তিনিও ছিলেন। কাজ করছিলেন কোচ জোয়াকিম লোর সহকারী হিসেবে। সেজন্যেই কিনা, কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনিই। বিষয়টা জানালেন জাতীয় দলের পরিচালক অলিভিয়ের বিয়েরহফ নিজে।
তবে তার এই ভাগ্যবদল হয়তো সম্ভব হতো না, যদি না তিনি শেষ এক বছরে বায়ার্নকে জেতাতেন সাতটি শিরোপা। কোচ নিকো কোভাচের বরখাস্ত হওয়ার পর বায়ার্নের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর ২০১৯-২০ মৌসুমের সব বড় শিরোপা আর ২০২০-২১ মৌসুমে লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, বিশ্বকাপসহ, জেতেন চারটি শিরোপা। এরপরই ক্লাবের সঙ্গে বনিবনতা না হওয়ায় ঘোষণা দেন মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার। সে সুযোগটাই লুফে নিয়েছে জার্মান ফুটবল। দলে ফিরিয়েছে তাকে, এবার প্রধান কোচ হিসেবে।