টোকিও অলিম্পিকস বন্ধ বা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জরুরি বৈঠক শেষে বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাসিমতো। তবে গেমস দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
করোনার ছোবলে অলিম্পিক গেসস যে বিবর্ণ হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতোমধ্যেই এক বছর পিছিয়ে নতুন সূচি করা হয়েছে, তবুও কাটছে না অনিশ্চয়তা। আয়োজকদের একাংশ গোঁ-ধরে বসেছে, যে করেই হোক মাঠে গড়াবে খেলা। তবে খোদ জাপানিরাই চাইছে কোভিডের এই কঠিন সময়ে কোনো দরকার নেই গেমস আয়োজনের।
এমন দোদুল্যমান পরিস্থিতির মাঝেই জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন আয়োজক কমিটির কর্তাব্যক্তিরা। যাদের আলাপচারিতায় উঠে আসে অলিম্পিক উপলক্ষ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের বিষয়টি। এমতাবস্থায় কোনো কারণে গেমস বাতিল করা হলে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হবে আয়োজক জাপানসহ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির।
অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি সেইকো হাসিমতো বলেন, অলিম্পিক গেমস নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নাকি কঠোর সমালোচনাও করেছেন গেমস আয়োজন নিয়ে। যদিও বিষয়টি তিনি আমাকে বলেননি। গণমাধ্যম থেকে আমি জেনেছি। আর সব আলোচনা-সমালোচনার জবাব হচ্ছে টোকিও অলিম্পিকস হবে এবং এটা নির্ধারিত সময়েই।
কোভিড প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় হয়েছে টোকিওতে বিদেশি দর্শক প্রবেশে। যারা টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন ইভেন্টের, সেই টাকাও ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেমস মাঠে গড়ালে স্থানীয় দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি এখনো।
আয়োজক কমিটি সভাপতি বলেন, নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বের। এই বিশ্বমারিতে একজনও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন আমরা সেটাই প্রধান্য দেব। আর তাই বিদেশি দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয়রা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সবকিছুই পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। অবস্থা ভালো হলে অবশ্যই আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব।