আধুনিক ক্রিকেটে সেরা তিন পাওয়ার হিটারের তালিকা করলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের নামটি রাখতেই হবে। ৩৭ বছর বয়সেও কি দারুণ ছন্দে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক। আইপিএলে চোখ ছানাবড়া হওয়ার মতো বেশ কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন এবারও। অথচ এই ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়াই কি না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে!
হ্যাঁ, স্বাভাবিক নিয়মে এগোলে ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দেখা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজম্যান্টের ভাবনাটা ভিন্ন। ডি ভিলিয়ার্সকে যে অবসর ভাঙিয়ে ফেরাতে চান তারা। খুশির খবর হলো, বর্ষীয়ান এই ব্যাটসম্যান নিজেও রাজি তাতে।
২০১৮ সালের মার্চে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে সর্বশেষ প্রোটিয়া জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ডি ভিলিয়ার্সকে। এরপরের মাসেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন, বয়স তখন ৩৪।
কিন্তু অবসরে গেলে কি হবে, ডি ভিলিয়ার্সের ফর্ম তো একেবারেই পড়েনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বিশেষ করে আইপিএলে রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে এবার একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে কেবল আফসোসই বাড়িয়েছেন প্রোটিয়া সমর্থকদের।
তবে সেই আফসোস নিয়ে থাকতে চান না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। আগামী মাসে ঠিক হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। যেখানে দুটি টেস্ট আর পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে প্রোটিয়ারা। এই সফরেই টি-টোয়েন্টি দলে ডি ভিলিয়ার্সকে দেখা যেতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিলেন স্মিথ।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ মার্ক বাউচারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এমনকি ডি ভিলিয়ার্সও আইপিএলের এক ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সুযোগ থাকলে দলে ফিরতে তার আপত্তি নেই।
ভারতে অক্টোবর-নভেম্বরে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগেই ডি ভিলিয়ার্সকে সেই সুযোগটা দিতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। গ্রায়েম স্মিথ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ঘোষণা দেয়ার সময় জানালেন সে কথা। সেইসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইমরান তাহির আর ক্রিস মরিসকেও টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানোর।