সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে পেনাল্টি শ্যুটআউটের জন্য কোচ লিওনেল স্কালোনি আলাদা প্র্যাকটিস করিয়েছেন কি না জানা নেই। কারণ, করোনার কারণে এবার অনেক কিছুই অজানা থেকে যাচ্ছে। দলগুলো প্র্যাকটিসের ছবি এবং ভিডিও ফুটেজও পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
কিন্তু কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারের পেনাল্টি শ্যুটআউটে মার্টিনেজ যে নায়োকোচিত ভূমিকা নিয়েছেন, তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। কলম্বিয়ার ৫টি শটের মধ্যে তিনটিই ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিন পেনাল্টি শট ঠেকিয়ের নায়কে পরিণত হলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। টাইব্রেকারে কলম্বিয়া প্রথম শট নেন কুয়াদ্রাদো। ঠেকাতে পারেননি মার্টিনেজ, গোল। ১-০। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শট নেন মেসি, দুর্দান্ত শট। চোখের পলকে এটাও গোল। ১-১।
কলম্বিয়ার দ্বিতীয় শট নিতে আসেন ডেভিনসন সানচেজ। বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে সানজের শট ফিরিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজ। গোল হলো না। ১-১। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শট নিতে আসেন রদ্রিগো ডি’পল। খুবেই বাজে শট। বারের ওপর দিয়ে মেরে দিলেন তিনি। গোল হলো না। ১-১।
কলম্বিয়ার তৃতীয় শট নিলেন, ইয়েরি মিনা। আবারও ঝাঁপিয়ে পড়ে মিনার শট ফিরিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। গোল হলো না। ১-১। আর্জেন্টিনা তৃতীয় শট নিলেন লিয়ান্দ্রো পেরেডেস। ডেভিড ওসপিনা ঝাঁপিয়ে পড়েও ফেরাতে পারলেন না। গোল। ১-২।
কলম্বিয়ার চতুর্থ শট নিতে আসেন মিগুয়েল বোরজা। এটি ঠেকাতে পারলেন না মার্টিনেজ। গোল। ২-২। আর্জেন্টিনা চতুর্থ শট নেন লওতারো মার্টিনেজ, এটিও গোল হয়ে গেলো। ওসপিনা ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি। ২-৩।
এবার নিজেদের শেষ শট নিতে আসেন কলম্বিয়ার ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার এডউইন করডোনা। তার দুর্বল শটটিও ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। শট ঠেকিয়েই জয়ের আনন্দে দৌড় দিলেন মার্টিনেজ। দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন মেসিরা। কোপার ফাইনালে ওঠার আনন্দের মধ্যমনি হয়ে গেলেন মার্টিনেজ।