ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ হন ইমরুল কায়েস ও তুষার ইমরান। গত শুক্রবার আক্রান্ত হলে শনিবার আবার পরীক্ষা করান তারা। এই পরীক্ষার ফলও পজিটিভ এসেছে। ইমরুল-তুষারদের সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের আগে সাদমান ইসলামসহ আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ জন।
আগামীকাল থেকে আবার শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ আসর ডিপিএল। করোনাভাইরাসের কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের আগে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, কর্মকর্তা, মাঠ কর্মী এবং এর সঙ্গে জড়িতে সবাইকে পিসিআর টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গত ২৬ মে থেকে কয়েক দফায় সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের আগে শনিবার ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল বিসিবি। এই পরীক্ষায় সর্বমোট ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারা হলেন; ইমরুল কায়েস, তুষার ইমরান, সাদমান ইসলাম, টিপু সুলতান, রুবায়েত হক, ইমরানুর রহমান, মোহাম্মদ ফারুকি, সৌরভ ও ইশতিয়াক আহমেদ নাদিম। এর মধ্যে ইমরুল ও তুষার ইমরান আগের টেস্টও পজিটিভ ছিলেন।
ইমরুল কায়েস ও তুষার ইমরান সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে প্রথম যে টেস্টের নমুনা দিয়েছিলেন, সে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গতকাল ফলস পজিটিভ পরীক্ষার জন্য আবার নমুনা দেন তারা। এই পরীক্ষাতেও তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফলে লিগের শুরুর দিকের বেশকিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না দুজন।
এদিকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ওপেনার সাদমান ইসলাম কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে পরীক্ষায় গত ২২ মার্চ তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এবারও করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে তার শরীরে। আজ আবার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেবেন সাদমান।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ করোনাভাইরাসের আতঙ্ক মাথায় নিয়ে বেশ ঘটা করে শুরু হয় ডিপিএল ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এক রাউন্ড পর ঘোষণা আসে আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে টুর্নামেন্টটির পরের রাউন্ড। সেই টুর্নামেন্ট আবার শুরু হচ্ছে। আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের এই মর্যাদাপূর্ণ আসর। খেলা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।