চলমান কাতার বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬৪টি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ম্যাচ হয়ে গেছে ৪৪টি। শুক্রবার আরও ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেই যবনিকাপাত ঘটবে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচের। তখন অংশ নেয়া ৩২ দলের অর্ধেকই ঝরে পড়বে এবং টিকে যাওয়া দলগুলো ঠাঁই করে নেবে শেষ ১৬-এর লড়াইয়ে। শুক্রবার যে ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, তার দুটিই হচ্ছে এইচ-গ্রুপের। ম্যাচ দুটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা হলেও শুরু হবে একই সময়ে।
আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে পর্তুগাল মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার, আল ওয়াকরার আল জানৌব স্টেডিয়ামে ঘানা মোকাবিলা করবে উরুগুয়েকে। এই গ্রুপে আগেই এক ম্যাচ হাতে রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লিখিয়ে ফেলেছে পর্তুগাল। ফলে আজ ফয়সালা হবে কোন্ দলটি গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে?
প্রথমেই আসা যাক ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচ প্রসঙ্গে। গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ৬১ ফিফা র্যাঙ্কিংধারী ও ‘ব্ল্যাক স্টার্স’ খ্যাত ঘানা। ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে আফ্রিকার দেশটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ২-৩ গোলে হেরে যায় পর্তুগালের কাছে। পরের ম্যাচেই একই ব্যবধানে কোরিয়াকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়।
পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে ১ ড্র ও ১ হারে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে আছে ১৪ র্যাঙ্কিংধারী, দু’বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ও ‘লা সেলেস্তে’ খ্যাত উরুগুয়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাতিন আমেরিকার দেশটি হোঁচট খায় কোরিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। পরের ম্যাচে তো আরও করুণ দশা-পর্তুগালের কাছে হার ০-২ গোলে! ফলে একেবারে খাদের কিনারায় চলে যায় তারা।
আজকের ম্যাচে তাদের শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে পর্তুগাল-কোরিয়া ম্যাচের ফলের দিকেও। বিশেষ করে নিজেরা জিতলে এবং কোরিয়া হারলেই রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকেটপ্রাপ্তি হতে পারে তাদের। ফলে সব মিলিয়ে তারা আছে ব্যাকফুটেই। তারপরও তারা একটা মরণকামড় দেয়ার চেষ্টা করবেই।
এবার আসা যাক দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে। উভয় দল পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে একবার এবং সেটা বিশ্বকাপেই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে দু’দলের স্কোরলাইন ছিল ১-১। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে উরুগুয়ে।