দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় তারা। এরপর ছাদ খোলা বাসে প্রায় ৫ ঘন্টার যাত্রা শেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ভবনে পৌঁছালে সাবিনা-কৃষ্ণাদের বরণ করে নেয় বাফুফের কাজী সালাউদ্দিন। এরপর বাফুফের কনফারেন্স রুমে শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু যাদের জন্য সংবাদ সম্মেলন তাদেরই বসার জায়গা হলো না সংবাদ সম্মেলনে।
নারী জাতীয় দলের ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন উপস্থিত হলে চেয়ার ছেড়ে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কক্ষে আসেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। প্রতিমন্ত্রীকে চেয়ার ছেড়ে দিতে হয় ছোটনকে। তারা চলে আসতে চাইলে পেছনে দাঁড়াতে বলা হয় তাদের। এরপর সংবাদ সম্মেলনের বাকী সময় পেছনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কোচ ও অধিনায়ককে।
সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চ মূলত দখলে ছিল বাফুফের সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রনালয়ের সচিব। সংবাদ সম্মেলনের এমন অব্যবস্থাপনা নিয়ে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘আমরা আরও বড় জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করব, সংবর্ধনা দেব। এখন তাদের বরণের সময়।’
যাদের জন্য সংবাদ সম্মেলন তারাই ছিলেন পর্দার আড়ালে। যা দৃষ্টিকটু লেগেছে সবার কাছে। এমন ঘটনার পর সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনরা আঙ্গুল তুলছে বাফুফের দিকে। তারা বলছেন, ‘যাদের জন্য আজকের এই উৎসবের আয়োজন, যাদের জন্য এই আনন্দের উপলক্ষ্য, তারাই একটু বসতে পারলো না? এ কেমন আয়োজন বাফুফের’।