এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ ইউকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। টাইগারদের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ০৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাশিদ-নবীরা। এ জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট না হারিয়ে রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন দুই আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে সাকিবের ৩য় ওভারে মুশফিকের করা স্ট্যাম্পিং-এ ১৮ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন গুরবাজ। নতুন ব্যাটার ইব্রাহীম জাদরানকে নিয়ে ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে মোসাদ্দেকের ২য় ও ইনিংসের দশম ওভারে এলবিডাব্লিউর ফাদে পরে ২৬ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান এ ব্যাটার। দলীয় ৬২ রানের মাথায় সাইফুদ্দিনের শিকার হোন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানের ১৭ বলে ৪৩ এবং ইব্রাহীম জাদরানের করা ৪১ বলে ৪২ রানের জুটিতে ভর করে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব, মোসাদ্দেক ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগান স্পিন বিষে প্রথম থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে টাইগাররা। দলীয় অর্ধশতক পেরোতে না পেরোতেই পাঁচ ব্যাটার বিদায় নিলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দীর্ঘ সময় পর দলে ফেরা ওপেনার নাঈম পূরণ করতে পারেননি প্রত্যাশা। প্রথম ওভারে একটা চার হাঁকালেও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। স্পিনার মুজিব উর রহমানের বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে চলে যায় স্টাম্পে। মাত্র ৬ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় নাঈম শেখকে। নাঈমের ব্যর্থতার পর আরেক ওপেনার আনামুল হক বিজয়কেও ফিরতে হয় সাজঘরে। মুজিবের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে মাত্র ৬ রানে সাজ ঘরে ফিরে যান এই ওপেনার।
ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এদিন ব্যর্থ ছিলেন রান তুলতে। বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও এনামুল হকের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও তুলে নেন মুজিব। নাভিন উল হকের ওভারে পরপর দুটি চার মারলেও মুজিব উর রহমানের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন সাকিব। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে সোজা স্টাম্পে চলে যায় বল। সাজ ঘরে ফেরার আগে ৯ বলে ১১ রান করেন সাকিব। এরপর ম্যাচের সপ্তম ওভারে মুশফিকুর রহিমকে বিদায় করেন স্পিনার রশিদ খান। পাঁচে ব্যাট করতে নামা আফিফ দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন তিনি। এসময় ১৫ বলে ১২ রান করেন আফিফ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক সৈকত মিলে হাল ধরেন। তবে দলীয় ৮৯ রানের সময় ২৭ বলে ২৫ রান করে আউট হোন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শেষ দিকে মসাদ্দেক-মেহেদি হাসানের জুটিতে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। অন্যদিকে মেহেদি ১২ বলে করেন ১৪ রান করে রান আউট হন।
আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ও রাশিদ খান তিনটি করে উইকেট নেন।