কাতার বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। চোখের সমস্যার কারণে কাতারে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তার খবরে দলে যেন বড় ধাক্কার উপক্রম। তবে অনিশ্চয়তার মেঘ সরিয়ে সন হিয়ং মিন ঠিকই দলের সঙ্গে এসেছেন। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে দলের সাফল্যে ঠিকঠাক সুরের সংযোগ মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশটির এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় তারকার সামনে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গ্রুপ পর্বে দারুণ পারফরম্যান্স দেখানো দক্ষিণ কোরিয়া চাইছে নকআউটেও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে।
আর সনও চাইছেন ব্রাজিলের বিপক্ষে দেশের জন্য ‘সারপ্রাইজ’ কিছু করে দেখাতে। তবে পথটা যে মোটেও সুগম হবে না তা একবাক্যে বলে দেওয়া যায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের সঙ্গে যখন ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিলো তখনই যোগ করা সময়ে দলের আরেক তারকা হোয়াং হি চানের গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়। এরই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার নকআউটে খেলাটাও।
সনের ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০১০ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন সন। ১০৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৩৫ টি। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামে কয়েক বছরে ২৪৫ ম্যাচ খেলে ৯৬ গোল ঝুলিতে আছে।
এবার ব্রাজিলের বিপক্ষে জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ৩০বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘আমাদের নকআউট পর্বে খেলাটা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু এখানেই আমাদের সবকিছু শেষ নয়। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আশা করছি আরও একটি অঘটনের চিত্রনাট্য লেখা হবে।’
দুই দলের লড়াইয়ের আড়ালে
সনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ব্রাজিলের রিচার্লিসনেরও। টটেনহ্যামে একইসঙ্গে খেলেন দুজন। দুজনের মধ্যে সমন্বয়ও ভালো। তবে সনের চেয়ে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত রিচার্লিসন কিছুটা এগিয়ে আছেন।
সার্বিয়ার বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো ভলি শটে দেওয়া গোলটি এখন পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে সেরা। যদিও পরের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই স্ট্রাইকার সুবিধা করতে পারেননি। বিরতির পর তাকে তুলে নেন কোচ তিতে।
আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে তো একাদশেই ছিলেন না। আজ নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে রিচার্লিসন ফিরছেন তা প্রায় নিশ্চিতই। বিপরীতে সমর্থকদের সারপ্রাইজ দিতে হলে সনসহ অন্যদের ভালো খেলতে হবে।
সন নাকি রিচার্লিসন? কে গোল পাবেন? কার দল জিতবে? জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই!