আগামী মার্চ-এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের জন্য ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলও ঘোষণা করেছে বিসিবি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ গেমস বাছাই পর্ব খেলতে না পারা জাহানারা আলমকে ফেরানো হয়েছে বিশ্বকাপ দলে। কোচ, ম্যানেজার, নির্বাচকের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
কর্মকর্তারা তাকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করছেন না জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। একটা টুর্নামেন্ট পরই জাহানারা দলভুক্ত হওয়ায় স্পষ্ট, অন্তরালের ঝড় থেমেছে। সাময়িক শাস্তি পেরিয়ে কাঠামোতে ফিরেছেন ডানহাতি এ পেসার। অবশ্য জাহানারার অন্তভুর্ক্তি নিয়ে নারী দলের নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের ইনচার্জ গতকাল জানালেন, প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। সেখানে সম্ভাব্য সেরা দলই পাঠাতে চেষ্টা করছে বিসিবি। সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়া হয়েছে।
জাহানারার বিশ্বকাপ দলে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ মাহমুদ বলেন, ‘কিছু প্রশাসনিক বিষয় আছে, এগুলো বোর্ডের বিষয়। বোর্ড সার্বিকভাবে দলের ভালোর জন্যই কাজ করে। ভবিষ্যত্ চিন্তা করে, যেন দলটা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। কোচ, নির্বাচকরা মিলে বিশ্বকাপ দলটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করার চেষ্টা করেছেন। এখানে অভিজ্ঞতা, তারুণ্যের মিশ্রণ করা হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত দেড় যুগে বাংলাদেশ নারী দলের প্রায় সবগুলো বড় অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন লালন করেই খেলে গেছেন তারা। পরম আরাধ্য সেই স্বপ্নপূরণের দুয়ারে এখন বাংলাদেশ নারী দল। জাহানারার কাণ্ডকে অভিভাবক সুলভ দৃষ্টিতেই দেখেছে বিসিবির উইমেন্স উইং।
বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জয়ের সুযোগটা তাই পাচ্ছেন ডানহাতি এ পেসার। গতকাল তৌহিদ মাহমুদ বলেছেন, ‘নারী ক্রিকেটে ১১ বছর হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে। সবার জন্যই ওয়ানডে বিশ্বকাপটা স্বপ্নপূরণের মতো। সবাই চায় সেরা দলটা বিশ্বকাপে খেলুক, ভারসাম্যপূর্ণ দলই পাঠানো হোক। বিসিবি ক্রিকেটারদের অভিভাবক। সেই দৃষ্টিতেই সবাইকে দেখা হয়েছে।’