সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন কুইন্টন ডি কক ও ইয়ানেমান মালান। তাদের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়সম রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ড তেমন লড়াই করতে পারেনি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭০ রানে জিতে সিরিজে হার এড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। শেষ ম্যাচে জিতে ১-১ ব্যবধানে ড্র করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডাবলিনে মালানের অপরাজিত ১৭৭ ও ডি ককের বিস্ফোরক ১২০ রানের সৌজন্যে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ইনিংস খেলার পথে সপ্তম কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডি কক স্পর্শ করেন ১০ হাজার রান। কেবল তিনিই এই মাইলফলকে গেলেন ৩০ বছরের কম বয়সে।
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে হারাতে রেকর্ড গড়তে হতো আয়ারল্যান্ডকে। কিন্তু বড় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দলটির। ১৯ ওভারে ৯২ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। সপ্তম উইকেটে কার্টিস ক্যাম্পারের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটিতে দলকে টানেন সিমি। ৫৪ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করে ক্যাম্পার ফিরলে ভাঙে জুটি।
এরপর প্রায় একার চেষ্টায় ব্যবধান কমান সিমি। শেষ পর্যন্ত ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। তার ৯১ বলের ইনিংস গড়া ১৪ চারে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি ও আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো। অভিষেকে প্রথম বলেই উইকেট নেন পেসার লিজাড উইলিয়ামস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৪৬/৪ (মালান ১৭৭*, ডি কক ১২০, ফন ডার ডাসেন ৩০, ক্লাসেন ৩, ফেলুকওয়ায়ো ৬, বাভুমা ৩*; ইয়ং ৯-০-৬১-১, অ্যাডায়ার ৯-০-৭৪-০, লিটল ৯-০-৫৩-২, সিমি ১০-০-৫২-১, ম্যাকব্রাইন ১০-০-৬৬-০, ডকরেল ৩-০-৩৬-০)
আয়ারল্যান্ড: ৪৭.১ ওভারে ২৭৬ (স্টার্লিং ১১, বালবার্নি ৭, ম্যাকব্রাইন ৯, টেক্টর ২৯, ডকরেল ১৫, ক্যাম্পার ৫৪, টাকার ১, সিমি ১০০*, অ্যাডায়ার ১৫, লিটল ২, ইয়ং ৮; মহারাজ ৭.১-০-৩৭-১, উইলিয়ামস ৮-০-৬২-১, ফেলুকওয়ায়ো ১০-০-৫৬-৩, তাবরাইজ ১০-০-৪৬-৩, ক্লাসেন ২-০-১৪-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইয়ানেমান মালান
ম্যান অব দা সিরিজ: ইয়ানেমান মালান