থমাস টাচেলের বদলে যাওয়া চেলসি ধারাবাহিক ভালো ফুটবলের নিদর্শন রাখল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিতেও। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ব্লুজ’দের কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। আলফ্রেদো দে স্তেফানো স্টেডিয়ামে রিয়াল-চেলসি ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে পিছিয়ে পড়া লস ব্ল্যাঙ্কোসরা সমতা ফেরাল করিম বেনজেমার গোলে। চোখধাঁধানো গোলে ক্লাবেরই প্রাক্তনী রাউল গঞ্জালেসকে ছুঁলেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠে এদিন চেলসির আধিপত্য দেখে মনে হয়নি তারা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে। গোটা ম্যাচে অধিকাংশ সময়েই রাশ ছিল টাচেলের ছেলেদের হাতে। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই গোল তুলে নেয় ব্লুজ’রা। ১০ মিনিটে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে টিমো ওয়ের্নারের অবধারিত একটি গোল বাঁচান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। কিন্তু চার মিনিট বাদে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের দক্ষতার কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। রুডিগারের বাড়ানো বল ধরে বক্সের মধ্যে কুর্তোয়াকে ডজ করে চেলসিকে ম্যাচে এগিয়ে দেন মার্কিনী।
ম্যাচের রাশ চেলসির হাতে থাকলেও রিয়ালের হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বেনজেমা। ২৩ মিনিটে তাঁর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বাঁ-পায়ের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তবে ২৯ মিনিটে বেনজেমার অ্যাক্রোব্যাটিক গোলই ম্যাচে সমতায় ফেরায় লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। এক্ষেত্রে মার্সেলোর ক্রস ভারানে, মিলিতাও’য়ের মাথা হয়ে ফ্রেঞ্চম্যানের কাছে আসতে প্রথমে হেডে বল রিসিভ করেন তিনি। এরপর অনবদ্য সাইডভলিতে তা জালে জড়িয়ে দেন বেনজেমা। একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ৭১তম গোল করে রাউল গঞ্জালেসকে ছুঁয়ে ফেলেন বেনজেমা। এখন সামনে কেবল রোনাল্ডো, মেসি এবং লেওয়ানদোস্কি।
বেনজেমার গোল সত্ত্বেও আলফ্রেদো দে স্তেফানোতে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধেও দাপুটে ফুটবলে রক্ষণ অটুট রাখে টাচেলের ছেলেরা। যদিও আর গোল তুলে নিতে পারেনি তারা। তবে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল নিয়ে আগামী সপ্তাহে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মানসিকভাবে এগিয়ে থেকেই শুরু করবে তারা। ম্যাচ শেষে ফলাফল প্রসঙ্গে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান বলেন, ‘এটা যথাযথ ফলাফল। প্রথমার্ধটা আমাদের জন্য ভালো হয়নি। ওদের প্রেসিং ফুটবল আমাদের বিপদে ফেলছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেটা মেরামত করেছি এবং অনেক ভালো ফুটবল খেলেছি।’