গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপে ১৪৪ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম| তারপরও প্রত্যাশা না মেটাতে পারার দায় উঠেছিল অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানের কাঁধে| বিশ্বকাপে শেষ চার ম্যাচে ৩৮ রান করেছিলেন মুশফিক| যেখানে তার ইনিংসগুলো ছিল এমন; ১, ০, ৮ ও ২৯| এই চার ম্যাচে তিনি খেলেছেন যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে| মিডল অর্ডারে এমন রুগ্ন পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের টি-২০ দল থেকে বাদ পড়েন তিনি|
বিপিএল দিয়ে খুদে ফরম্যাটে আবারও ফিরেছেন মুশফিক| কিন্তু খুলনা টাইগার্সের হয়ে শুরুটা ভালো হয়নি| প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৬, দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে ১১ রান করেছেন খুলনার অধিনায়ক| সবমিলিয়ে টি-২০ তে শেষ ৬ ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল ৫৫ রান| চট্টগ্রামে এসে রান খরা কাটল মুশফিকের ব্যাটে| গতকাল সাগরিকায় চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে ৩০ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি| যেখানে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়| মুশফিকের রানে ফেরার দিনে তার দল খুলনা টাইগার্সও জিতেছে| চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা|
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সাবলীল ছিলেন মুশফিক| অষ্টম ওভারে উইকেটে এসে আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন| পরে সেকুগে প্রসন্নর সঙ্গেও ৪৫ রানের জুটি গড়েন খুলনার অধিনায়ক| প্রসন্ন ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করেই ফিরেছেন মুশফিক|
রানে ফিরে স্বস্তিতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান| গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমি মিডল অর্ডারে নেমে বেশিক্ষণ খেলতে পারিনি| এটা দারুণ অনুভূতি (রানে ফেরা)| সামনে আরো অনেক ম্যাচ রয়েছে|’ দলগত পারফরম্যান্সেই এসেছে জয়| আজও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান মুশফিক| তিনি বলেন, ‘বোলাররা নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে লাইন লেন্থ মেনে বল করেছে এবং আমাদের ফিল্ডিংও দারুণ ছিল| বিশেষ করে ফ্লেচার অসাধারণ খেলেছে| টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোনো ব্যাটসম্যান অথবা বোলার একা ম্যাচ জেতাতে পারে না| এটা দলীয় নৈপুণ্য ছিল| আশা করি, আগামী কালও আমরা এভাবে পারফরম্যান্স করতে পারব|’
উইকেট, কন্ডিশন বিবেচনায় পর্যাপ্ত রান করতে পারেনি বলেই হেরেছে চট্টগ্রাম| দলটির অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও বিষয়টি স্বীকার করেছেন| তার মতে, সাগরিকায় অন্তত ১৭০ রান করা উচিত ছিল তাদের| যদিও ১৪৩ রানের বেশি যেতে পারেনি চট্টলার দলটি|