মৌসুমের বেশিরভাগ সময় ছিলেন স্কোয়াডের বাহিরে। সবমিলিয়ে যতগুলো ম্যাচ খেলেছেন কোন ম্যাচই নিজের প্রচেষ্টায় পার্থক্যে গড়ে দিতে পারেননি। অথচ, ইডেন হ্যাজার্ডকে স্টামফোর্ড ব্রীজ থেকে বার্নাব্যুতে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের বদলি হিসেবে।
চলতি আসরে হ্যাজার্ডকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চার নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ। কথা ছিল, ঘরের মাঠে শেষ চারের প্রথম লেগে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে খেলবেন। কিন্তু, যথারীতি ইঞ্জুরির কারণে খেলতে পারেননি এক মিনিটও। অবশেষে স্টামফোর্ড ব্রীজে পূর্ণ হ্যাজার্ডকেই পায় লস ব্লাংকোসরা। কিন্তু তাতে মোটেও কোন লাভ হয়নি জিনেদিন জিদানের। বড্ড বিবর্ণ হ্যাজার্ডে হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে স্টামফোর্ড ব্রীজে স্বাগতিক চেলসির কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পুরো মৌসুমে চোট জর্জরিত দল নিয়েও ইউরোপ সেরার আসরে মাত্র এক ধাপ পিছিয়ে বাদ পড়ায় বিষাদে মন ছেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের।
সেই যন্ত্রণার আগুন আরও বাড়িয়ে দেয়, ম্যাচশেষে হেরেও সাবেক ক্লাবের সতীর্থদের সঙ্গে হ্যাজার্ডের ভাবভঙ্গি। যাদের কাছে হেরে ফাইনালে যাওয়া হয়নি, সেই চেলসির খেলোয়াড়দের সঙ্গেই কিনা হাসি-তামাশায় মাতলেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড! কোনভাবেই মানতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে তীব্র অসন্তোষ ।
অবশেষে রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের তীব্র অসন্তোষের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন হ্যাজার্ড। নিজের কোন কর্মকাণ্ডে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের আঘাত উদ্দেশ্য নিয় বলে জানিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম পাতায় ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার লিখেছেন,
“আমি দুঃখিত। আমি আজ আমার সম্পর্কে প্রচুর মতামত পড়েছি, রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা স্বপ্ন সবসময়ই আমার ছিল এবং আমি জিতে এসেছি। মৌসুম এখনও শেষ হয়নি, আমরা একসাথে লা লিগার লড়াইয়ে যাব। হালা মাদ্রিদ।”
২০১৯ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ক্লাব রেকর্ড ১০ কোটি ইউরোয় চেলসি থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমে দুইবার মারাত্মক গোড়ালির গাঁটের চোটে পড়েন হ্যাজার্ড। আর চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে ইঞ্জুরিতে পড়েছেন চারবার। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বেলজিয়ান তারকা খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৮ ম্যাচ।