Image default
খেলা

শীর্ষে পৌঁছে বোলারদের প্রশংসা রোহিতের মুখে

অজানা এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় কামাল করে দেখাচ্ছেন তাঁর দলের বোলাররা। নাইটদের পর সানরাইজার্স, স্বল্প পুঁজি নিয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুশকিল আসান দলের বোলিং ব্রিগেড। তাই ওয়ার্নার অ্যান্ড কোম্পানিকে হারানোর পর রোহিত দলের বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন সেটাই স্বাভাবিক। আর এদিন ম্যাচ শেষে হলও তাই। সানরাইজার্সকে ১৩ রানে হারিয়ে দলকে শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার পর রাহুল চাহার, ট্রেন্ট বোল্টদের স্তুতি অধিনায়ক রোহিতের গলায়।

তবে তাঁর দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে যে আরও উন্নতির প্রয়োজন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। ‘হিটম্যান’ ম্যাচ শেষে এদিন বলেন, ‘বোলিং ইউনিটের প্রচেষ্টা দুর্দান্ত। আমরা জানতাম ম্যাচটা সহজ হবে না। তবে এমন পিচে বোলাররা নিজেদের কাজটা সঠিকভাবে করলে অধিনায়কের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’ আর ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে মুম্বইকার ব্যাটসম্যান জানান, ‘এই পিচের নিরিখে আমাদের স্কোর খুব একটা খারাপ নয়। দেখাই যাচ্ছে দু’টো দলই মূলত পাওয়ার-প্লে’র সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। তবুও বলব আমরা মাঝের ওভারগুলোতে আরও ভালো করতে পারতাম। আমার দলে সেরকম অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কমতি নেই।’

উল্লেখ্য, ডি’কক-রোহিতের ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান উঠলেও মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ছন্দে না থাকায় এদিন সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে বেশ বেগ পেতে হয় মুম্বইকে। তবুও চেন্নাই’য়ের মন্থর পিচে শেষদিকে জ্বলে ওঠেন ক্যারিবিয়ান পিঞ্চ-হিটার কায়রন পোলার্ড। তাঁর ২২ বলে ঝোড়ো ৩৫ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে ১৫০ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সমর্থ হয় মুম্বই। ৪০ রান করেন ডি’কক, অধিনায়ক রোহিত করেন ২৫ বলে ৩২।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়েছিল সানরাইজার্সেরও। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো জুটি পাওয়ার-প্লে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়ে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৬৭ রান। বেয়ারস্টো ২২ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয়ের ভিত মোটামুটি প্রস্তুত করে যান। ইংরেজ ওপেনার হিট-উইকেট হওয়ার পর সানরাইজার্সের প্রয়োজন ছিল দু’একটি বিশ্বস্ত পার্টনারশিপ। কিন্তু রাহুল চাহার, ট্রেন্ট বোল্টদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নেওয়ার ফলে জয় আসেনি ওয়ার্নারের দলের। ১৫১ রান তাড়া করতে গিয়ে দু’বল বাকি থাকতে ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় সানরাইজার্স।

৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন চাহার, ৩.৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বোল্টও। আর মুম্বই’য়ের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে কৃপণ বুমরাহ ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৪ রান। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান-রেটে কোহলির দলকে ছাপিয়ে আপাতত শীর্ষে রোহিতরা।

Related posts

বিশ্বকাপ ফুটবলে এশিয়াকে গণনায় নিতেই হচ্ছে

News Desk

ওয়ার্নের সম্মানে সেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার

News Desk

বিশ্বজয়ী বীরের বেশেই মেসিকে বরণ করলো পিএসজি

News Desk

Leave a Comment