ফুটবলের সবুজ গালিচায় তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি প্রতিপক্ষের কোনো ডিফেন্ডার। সেই তিনি জীবনের মাঠে হার মানলেন মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে। ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ক্যান্সারের লড়াইটা ছিলো দীর্ঘদিনের, আর পারলেন না সম্রাট, নিজেকে সপে দিলে মৃত্যুর কোলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাজিলের ‘কালোমানিক’ পেলে। যেই ব্রাজিলের জার্সি গায়ে কাঁপিয়েছেন ফুটবলের মাঠ, সম্রাটের মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে ঐতিহাসিক হলুদ জার্সির সেই সাম্রাজ্য।
তিনাবারের বিশ্বকাপজয়ী পেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্ব। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ব্রাজিলে শোকের মাত্রাটা নিঃসন্দেহে বেশি।
ব্রাজিলের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে গেছে কালোমানিকের মৃত্যুর শোক। সেলেসাওদের সেই শোকস্তব্ধতার গোল উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
ফুটবল সম্রাট পেলের এক ভক্ত আবেগতাড়িত কণ্ঠে জানিয়েছেন, পেলের মৃত্যুতে আমি যেমন শোকাহত তেমনি গর্বিত। কারণ পেলের দেশ ব্রাজিলে আমার জন্ম হয়েছে। ফুটবলের একজন মহাতারকা পেলে। এছাড়াও, তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।
ব্রাজিলিয়ান এক নারী পেলের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেন, যখন আমরা নতুন একটি বছরে প্রবেশ করতে যাবো তখনই বিদায় নিলেন ফুটবলের রাজা পেলে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। সত্যিই এটি বেদনার। এটি আমাদের কান্না করার দিন।
ব্রাজিলিয়ান এক তরুণ জানান, পেলের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। কারণ আমি তার খেলাকে অনেক ভালোবাসি। আমি সব সময় তার একজন বড় ভক্ত ছিলাম। তিনি ছিলেন ফুটবলের মহাতারকা এবং ফুটবল বিশ্বের আইকন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। ব্রাজিলের এই কিংবদন্তির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরই শোক ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে।