এই জুনেই ক্রিকেটারদের সাথে নতুনভাবে কেন্দ্রীয় চুক্তি করতে যাচ্ছে বিসিবি। এবারো কী গতবারের মত লাল ও সাদা বলের জন্য আলাদা চুক্তি হবে? অর্থাৎ যারা শুধু টেস্ট খেলবেন, তাদের সাথে আলাদা চুক্তি হবে। আর যারা শুধু ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বা সাদা বলের পারফরমার তাদের সাথেও হবে আলাদা চুক্তি হবে? অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এবারো আগের বারেরমত লাল ও সাদা বলে ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের সাথে চুক্তি হবে।
গতবার প্রথমে তিন ফরম্যাটের জন্যই নির্বাচিত হয়েছিলেন সাত ক্রিকেটার- তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আর শুধু লাল বল মানে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন চারজন। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ সে তালিকায় ছিলেন নাঈম হাসান, দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন চৌধুরী।
এছাড়া সাদা বলে মানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং নাঈম শেখ। এর সাথে সৌম্য সরকার পরে সাদা বলের জন্য চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। নির্বাচক হাবিবুল বাশার আজ মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যাপারটা আপনারা দুই একদিনের মধ্যে জেনে যাবেন।’
বাশার যোগ করেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, আমরা একটা ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করি যেটা করে আসছি বিগত কয়েক বছরে সেটাই বাইরে তেমন কিছু হয়নি।’ তবে এবার তার সাথে পারফরমেন্সটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান বাশার। তার ভাষায়, ‘তবে এবার অবশ্যই পারফরম্যান্সের ওপর জোড় দেওয়া হয়েছে।
কোনো ক্রিকেটার কী লাল বল সাদা বলে আলাদা করে আগ্রহ দেখিয়েছেন? বাশারের জবাব, ‘এই বিষয়টা এখনো আমাদের সামনে আসেনি। এখনও পর্যন্ত আমরা আগের যে নিয়ম অনুসরণ করছি। কেউ খেলতে চায় আবার কেউ খেলতে চায় না- এমন কোনো কিছু আমাদের সামনে আসেনি। নাম জমা দেওয়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে নির্বাচক বাশারের জবাব, ‘ছয় মাস তো শেষ হয়ে গেছে নতুন করে চুক্তি দিতে হবে আমাদের। আমরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছি। এটা নিয়ে আরও আলেচনা হবে, তারপর আপনারা জানতে পারবেন।
গুঞ্জন আছে সাকিব টেস্ট খেলতে অনাগ্রহী। আর তামিমও টি-টোয়েন্টি খেলতে চান না তেমন। তাহলে সাকিব-তামিমের কেউ যদি লাল বল, সাদা বলে আলাদা করে চুক্তির করতে চায়, তাহলে কী করবেন? বাশারের সোজা-সাপটা জবাব, আমরা ‘যদি’ নিয়ে কোনো কাজ করতে চাচ্ছি না। আর আমাদের কাছে তেমন কিছু আসেওনি।’
সাকিব টেস্ট খেলতে চান না- এমন কথাকে অসাঢ় ও অসত্য বলে মন্তব্য করে বাশার বলেন, ‘একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে যাওয়া দরকার যে, সাকিব আল হাসান কিন্তু কখনোই বলেনি যে সে টেস্ট খেলবে না। এটা সাকিব কখনোই বলেনি। একটা সময় সে ছুটি চেয়েছিল, ওই সময়টা টেস্ট ম্যাচ ছিল। ওই সময়ের পরই টেস্ট থাকলে কিন্তু সে টেস্ট খেলতে পারতো। তার মানে এটা না যে তিনি টেস্ট খেলবে না বা খেলতে চান না। যে সময়টা ছুটি চেয়েছিল ওই সময়টা টেস্ট ম্যাচ ছিল।
তাহলে কেন্দ্রীয় চুক্তিটা কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে? জানতে চাইলে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘করোনার কারনে কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। এখন সবকিছু বিবেচনা করেছি। শুধু পারফরম্যান্স না আমরা ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করি কে বেশি খেলতে পারবে, কার থেকে পরবর্তী এক বছর বেশি সার্ভিস আশা করবো- সব কিছু মিলে আসলে করা হয়েছে।