আফিফ হোসেনকে বল করার মতো কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ছাড়া আশপাশে কেউই বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
আফিফের নেটের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। নেটে বোলারের অভাব দেখে সাকিব নিজেই বল তুলে নিলেন। কিন্তু বাঁহাতি স্পিন বোলিং বাদ দিয়ে সাকিব করছিলেন বাঁহাতি পেস বোলিং!
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলনে আজ এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সাংবাদিকদের চোখ আটকে গেল। সবাইকে অবাক করে দুই-তিন ওভারের মতো বাঁহাতি পেস বোলিং করলেন সাকিব।
প্রতিটি বল করার আগে বলের পেসারের মতো বলের সিম ধরছিলেন। লাইন-লেংথ ঠিক না হলে নিজের ওপর হতাশও হচ্ছিলেন।
পেস বোলিং করে একবার আফিফকে আউট করার দাবিও করেন সাকিব! অফ স্টাম্পের বাইরের একটি বলে কাট করতে গিয়ে বল আফিফের ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে। সাকিব তাতে দুই হাত মেলে উদ্যাপনে মেতে ওঠেন। আফিফ অবশ্য আউট মানতে নারাজ।
সাকিবকে থামিয়ে আফিফ বলছিলেন, ‘কিসের আউট! বল তো স্লিপ দিয়ে বেরিয়ে যাবে।’ সাকিবের পাল্টা জবাব, ‘আমি তো স্লিপ নিয়ে বোলিং করছি। একটা না, তিনটা স্লিপ রেখেছি। বলটা থার্ড স্লিপ দিয়ে গেছে।’
একই সময় আফিফের পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফের পর মাহমুদউল্লাহকেও কিছুক্ষণ বোলিং করেন সাকিব। তবে মাহমুদউল্লাহকে তিনি স্পিন বোলিংই করেছেন।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেও চলে তাঁর খুনসুঁটি। একবার মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে আউটের জোরালো আবেদন করেন সাকিব। যেন মাহমুদউল্লাহকে আউট করতে পারলেই সাকিবের অনুশীলন-পর্ব পুরোপুরি সার্থক!
অনুশীলনের শুরুতে সাকিব ব্যস্ত ছিলেন নিজের ব্যাটিং অনুশীলনে। গতকাল রাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে আজ সাতসকালে দলের সঙ্গে অনুশীলনে হাজির হন সাকিব।
লম্বা সময় নেটে কাটিয়ে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজের ব্যাটিং ঝালিয়ে নিয়েছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। পরে পেস বোলারদেরও খেলেছেন।
এবারের বিপিএল থেকেই দারুণ ব্যাটিং ছন্দে আছেন সাকিব। ১১ ম্যাচে ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ২৮৪ রান করেছেন। বল হাতে ১৬ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারিদের তালিকায় সাকিব ছিলেন তিন নম্বরে। বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়ে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েন সাকিব।
আফগানিস্তান সিরিজে বিপিএলের অলরাউন্ডার সাকিবকেই পেতে চাইবে বাংলাদেশ দল।