বাংলাদেশিদের মধ্যে একমাত্র সাকিব আল হাসানই আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১১ সালে তাকে প্রথমবার কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। এরপর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর ফ্রাঞ্জাইজিটির হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০২১ সালে তাকে আবারও দলে ভেড়ায় কেকেআর। এর মাঝে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে খেলেন সাকিব। তবে এ বছর কোনো দলই তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
আইপিএলে সবমিলিয়ে ৭১টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এতে ব্যাট হাতে ৭৯৩ রান করার পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ৬৩টি। পারফরম্যান্স খুব বেশি উজ্জ্বল না হলেও দলে তার প্রভাব ছিল বেশ। নিয়মিতই কিপ্টে বোলিং করতেন তিনি। ২০১২ ও ২০১৪ মৌসুমে কলকাতার হয়ে দুইবার শিরোপার স্বাদ পান এই অলরাউন্ডার।
সাকিব থাকাকালীন প্রথম ধাপে (২০১১-২০১৭) দুই বার শিরোপা জিতে কলকাতা, তিন বার প্লে-অফে খেলে এবং দুই বার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়। ২০১৮ মৌসুমেও প্লে-অফ খেলতে সক্ষম হয় ফ্রাঞ্জাইজিটি। এর পরের মৌসুমেই তাদের ছন্দপতন ঘটে। টানা দুই বার প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। আর তাইতো সফলতা পেতে ২০২১ সালে আবারও সাকিবকে কিনে নেয় কলকাতা। তখন ফ্রাঞ্জাইজি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বাংলাদেশি অলরাউন্ডার না কি তাদের জন্য ‘লাকীচার্ম’ (সৌভাগ্যের প্রতীক)। হয়তো তাদের কথাই সত্যি। ২০২১ সালে রানার্সআপ হয়েছে কেকেআর। ব্যক্তিগতভাবে তেমন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স না থাকলেও দলটিতে সাকিবের ভাগ্য ছিল যে তা বলাই যায়!
চলতি মৌসুমে সাকিবের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্জাইজি। এমনকি তিন বার নিলামে তোলার পরও তাকে কেনেনি কলকাতা। দলে ‘লাকীচার্ম’ না থাকায় কেকেআরও যেন তাদের ভাগ্য ফিরে পাচ্ছে না। একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টিতে জয়, বিপরীতে পরাজয় ৭টি। ১০ দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ৯ নম্বরে। প্লে-অফে যে তাদের খেলা হচ্ছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত বলা যায়।