১২ বলে দরকার ২৬ রান। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজে। ১৯তম ওভারে সুনীল নারাইনকে তাই আনলেন না কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক এউইন মরগান। তবে প্রসিধ কৃষ্ণার সে ওভারেই ম্যাচের গতিপথটা বদলে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। সে ওভারে এল ২২ রান, শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল তাই মাত্র ৪ রান। তবে এরপর নারাইন দেখালেন জাদু। প্রথম ৫ বলে স্যাম কারেনের পর ৮ বলে ২২ রান করা জাদেজাকেও ফিরিয়ে দিলেন, দিলেন মাত্র ৩ রান।
সব গিয়ে ঠেকল তাই শেষ বলে। দীপক চাহারকে অবশ্য আটকাতে পারলেন না নারাইন। চেন্নাইকেও আটকাতে পারল না কলকাতা। ১৭২ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে ২ উইকেটের জয়ে আবারও দিল্লি ক্যাপিটালকে টপকে টেবিলের শীর্ষে চলে গেল চেন্নাই সুপার কিংস।
১৭১ রান তাড়ায় দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডু প্লেসি আবারও ভালো একটা ভিত গড়ে দিয়েছেন চেন্নাইকে। নবম ওভারে গিয়ে আন্দ্রে রাসেল ভেঙেছেন সে জুটি, তাঁর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২৮ বলে ৪০ রান করা গায়কোয়াড়। এরপর ফিরেছেন ৩০ বলে ৪৩ রান করা ডু প্লেসি। তবে এর আগেই মঈন আলীর সঙ্গে জুটিতে ২৮ রান এনে দিয়েছেন।
নারাইনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ভুগেছেন আম্বাতি রাইডু, ৯ বলে করেছেন ১০ রান। লকি ফার্গুসনের বলে এরপর ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ বলে ৩২ রান করা মঈনও। মঈন, সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনি—তিনজন আউট হয়েছেন ৬ বলের ব্যবধানে। রান তাড়ায় চেন্নাই তখন পড়ে গেছে দারুণ চাপে। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কৃষ্ণার করা ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলে শুধু দুটি সিঙ্গেল হলেও তৃতীয় বল থেকে চড়াও হয়েছেন জাদেজা। দুই ছয়ের পর মেরেছেন দুই চার। এরপরই তো শেষ ওভারের ওই নাটক।
আবুধাবিতে এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল কলকাতা। প্রথম ওভারেই ৫ বলে ৯ রান করা শুবমান গিল রানআউট হয়ে ফিরলেও ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠির জুটি কলকাতাকে এগিয়ে নিয়েছিল ভালোই। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেছেন ৪০ রান, সেটা এসেছে ২৫ বলে। শার্দুল ঠাকুরের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আইয়ার ফিরলেও পাওয়ার প্লেতে কলকাতা তুলেছে ৫০ রান।
অবশ্য আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে যেমন করেছিল, আজও কলকাতাকে মাঝের ওভারগুলোতে চেপে ধরেছিল চেন্নাই। এ সময়ে বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়েছেন জাদেজা, নিয়েছেন কলকাতার সর্বোচ্চ স্কোরার ত্রিপাঠির (৩৩ বলে ৪৫) উইকেট।
ত্রিপাঠির পর নিতীশ রানার ২৭ বলে ৩৭, আন্দ্রে রাসেলের ১৫ বলে ২০ ও দীনেশ কার্তিকের ১১ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে কলকাতা গিয়েছিল ১৭১ রান পর্যন্ত। শেষ ২ ওভারেই তারা তুলেছিল ৩২ রান। তবে শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো না সেটাও। এ ম্যাচেও কলকাতার হয়ে মাঠে নামেননি সাকিব আল হাসান। আইপিএলের পরের অংশে টানা দুই জয়ের পর এবার হারল কলকাতা