Image default
খেলা

সাত স্পর্শে লুকাকুর ভুলে যাওয়ার মতো এক রেকর্ড

ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোল পেতে লড়াই করছিলেন কাই হাভার্টজ, হাকিম জিয়েশ, পুলিসিচরা। অনেকটা দর্শক হয়েই এ লড়াই দেখছিলেন তাঁদের সতীর্থ রোমেলু লুকাকু। অবশেষে ৮৯ মিনিটে গোল পেয়েছেন জিয়েশ। প্যালেসের বিপক্ষে ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চেলসি। কিন্তু এ ম্যাচে যে গোটা ৯০ মিনিটই বলতে গেলে দর্শক হয়েই রইলেন লুকাকু।

গতকালকের ম্যাচে এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের এভাবে ‘দর্শক’ হয়ে থাকায় একটি রেকর্ডও হয়েছে। তবে সেই রেকর্ড তিনি ভুলে যেতেই চাইবেন। পুরো ম্যাচেই খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না লুকাকুকে। মনে হচ্ছিল প্যালেসের বিপক্ষে খেলছেনই না এ বেলজিয়ান। প্রথমার্ধে যতবার ক্যামেরা লুকাকুকে খুঁজে পেয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই দেখা গেছে লুকাকু দৌড়াচ্ছেন বা দাঁড়িয়ে আছেন হতাশা নিয়ে। তাঁর পায়ে বল—এমন দৃশ্য প্রথমার্ধে দেখা গেছে মাত্র দুবার।

দ্বিতীয়ার্ধে অবস্থার উন্নতি হয়। ক্যামেরায় আরেকটু বেশি দেখা গেছে তাঁকে। তখনো বেশির ভাগ সময়ই হতাশা দেখা গেছে চোখেমুখে। এ অর্ধে অবশ্য তাঁর উন্নতি বলতে বল একটু বেশিই ধরেছেন তিনি। প্রথমার্ধের চেয়ে বলে ৩টি স্পর্শ বেশি করেছেন! মানে দ্বিতীয়ার্ধে লুকাকু বল স্পর্শ করেছেন ৫ বার। সব মিলিয়ে ম্যাচে তাঁর বলে স্পর্শ ছিল ৭ বার। আর এতেই রেকর্ড বইয়ে ঢুকে গেছেন লুকাকু্। ২০০৩–০৪ মৌসুম থেকে অপটা (ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট) হিসাব রাখা শুরু করার পর থেকে পুরো ম্যাচ খেলে প্রিমিয়ার লিগে এটিই কোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে কম স্পর্শ।

অথচ এই লুকাকুই চেলসিতে নাম লেখানোর আগে ইন্টার মিলানে দুটি মৌসুম কী দুর্দান্তই না খেলেছেন! ২০১৯–২০ মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ইন্টারের হয়ে খেলেছেন ৫১ ম্যাচ, গোল করেছেন ৩৪টি। পরের মৌসুমে তিনি ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৪৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩০ গোল। গত মৌসুমে ইন্টার মিলানকে সিরি ‘আ’ জেতাতে রেখেছেন অসাধারণ ভূমিকা। সেই লুকাকুই এ মৌসুমে চেলসিতে যোগ দিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন মাত্র ১০টি।

Related posts

প্রেসিডেন্ট বিডেন লাস ভেগাস আইস পার্টির সময় ক্যানডেস পার্কারের ভুল করেছেন

News Desk

ইউএসসির আত্মবিশ্বাসী এরিক মুসেলম্যান বাস্কেটবল প্রোগ্রামটিকে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বুস্ট দিতে পারে

News Desk

আইপিএলে নো-বল বিতর্ক, নিয়ম নিয়ে ভাবতে বলছেন জয়াবর্ধনে

News Desk

Leave a Comment