গোলের সঙ্গে আরলিং হলান্ডের সখ্য তাহলে মোটেও কমেনি। লিভারপুলের বিপক্ষে সম্ভবত একটু বিশ্রাম নিয়েছিলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজের অভিষেক মৌসুমেই ফুটবল পণ্ডিতদের ঘাম ছুটিয়ে দেওয়া এই নরওয়েজীয় তারকা ব্রাইটনের বিপক্ষে করেছেন ২ গোল। লিগে ১১ ম্যাচে খেলে হলান্ডের গোল এখন ১৭টি। যেখানে ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচেই করেছেন ১২ গোল।
https://www.docsity.com/en/answers/black-adam-2022-fullmovie-download-free-720p-480p-and-1080p/338625/
https://www.docsity.com/en/answers/at-where-to-watch-black-adam-free-online-streaming-on-123movies-hd/338626/
https://www.docsity.com/en/answers/atdownload-123movies-black-adam-movie-2022-mp4-720p-1080p-hd-4k-english/338628/
https://www.docsity.com/en/answers/watch-black-adam-2022-mp4-720p-1080p-hd-4k-english-hd/338630/
https://www.docsity.com/en/answers/how-to-watch-black-adam-free-online-streaming-at-home/338632/
গত মৌসুমে লিগে ম্যান সিটির সর্বোচ্চ গোলদাতা কেভিন ডি ব্রুইনার করেছিলেন ১৫ গোল। মাত্র ১১ ম্যাচ খেলেই হলান্ড ছাড়িয়ে গেছেন ডি ব্রুইনাকে। হলান্ডের জোড়া গোল ও ডি ব্রুইনার নান্দনিক গোলে ঘরের মাঠে ব্রাইটনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিটি। লিভারপুলের বিপক্ষে হারের পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা।
ইতিহাদে ম্যান সিটি-ব্রাইটন ম্যাচে সেই চেনা দৃশ্যেরই মঞ্চায়নও হয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাইটনের ডি-বক্সে ছিল ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলারদের আনাগোনা। শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া সিটির গোলের খাতা খোলে ম্যাচের ২২ মিনিটে, হলান্ডের গোলে। গোলরক্ষক এদেরসনের লম্বা পাসে হলান্ড যেভাবে গোল করেছেন, তাতে সাবেক টটেনহাম ফুটবলার টিম শেরউড বলতে বাধ্য হয়েছেন ‘অবিশ্বাস্য গোল’।
৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত সিটি। তবে হলান্ডরা সে সুযোগটা নিতে পারেননি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে পেনাল্টি পায় পেপ গার্দিওয়ালার দল। আগে সিটির বেশ কয়েকটি পেনাল্টির আবেদনে রেফারি মুখ ফিরিয়ে নিলেও এবার সাড়া দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে হলান্ডের ২২তম গোল।
প্রিমিয়ার লিগে এটি পেপ গার্দিওয়ালার অধীনে সিটির ৬০০তম গোল। লিগে এর আগে কোনো নির্দিষ্ট ক্লাব একই কোচের অধীনে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছে দুবার—শুধু অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল।
ম্যাচের ৫২ মিনিটেও সুযোগ আসে সিটির সামনে। ব্রাইটন গোলরক্ষক সানচেজের কল্যাণে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি রিয়াদ মাহরেজ। সিটির আক্রমণে সবাই যখন তাদের কাছে থেকে আরও গোলের প্রত্যাশায় ছিল, তখন উল্টো গোল করে ব্রাইটন।
২৫ গজ দূর থেকে দারুণ শটে সিটির সঙ্গে ব্যবধান কমান টসওয়ার্ড। এই গোলের পর সিটিকে বেশ চাপেই রাখে ব্রাইটন। ৬১ মিনিটে মাহরেজের বদলি হেসেবে মাঠে নামেন ফিল ফোডেন। ৬৭ মিনিটে ম্যাক আলিস্তার সুযোগ পেয়েও ব্রাইটনকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন।
৭০ মিনিটে আবারও আক্রমণ চালায় ব্রাইটন। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে এবারও সিটির জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয় তারা। এক মিনিট পরই পাল্টা আক্রমণ করে সিটি। তবে হলান্ডের শট অল্পের জন্য জাল খুঁজে পায়নি।
৭৫ মিনিটে সম্ভবত ম্যাচের সেরা মুহূর্তটি উপহার দেন ডি ব্রুইনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে বল জালে জড়ান এই বেলজিয়ান তারকা।
২০১৫ সালে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের পর থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার। ডি ব্রুইনার গোলে দারুণ খেলতে থাকা ব্রাইটন জয়ের স্বপ্ন একেবারেই ফিকে হয়ে যায়। শেষ দিকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকলেও কোনো দলই গোল পায়নি।