Image default
প্রযুক্তি

উইন্ডোজ কি?উইন্ডোজ কত প্রকার ও কী কী ২০২৪ – What is Windows Operating System in Bengali 2024

উইন্ডোজ হলো একটি গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম, যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি এবং বাজারজাত করা হয়েছে। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীকে কম্পিউটার পরিচালনা করার সুবিধা প্রদান করে। উইন্ডোজ প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে, এবং এরপরে বিভিন্ন আপডেট ও সংস্করণের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

Windows হলো কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবসহ যেকোনো ডিভাইসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। Windows-কে কম্পিউটারের সফটওয়্যার জগতের “মস্তিষ্ক” বলা হয়, কারণ এটি কম্পিউটারের সমস্ত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা Microsoft Windows সম্পর্কিত সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানব, যেমন Windows কী, Windows কত প্রকার এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী।

উইন্ডোজ কী – What is Windows

Windows হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা আপনার কম্পিউটার চালাতে সাহায্য করে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রথমে যে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হয়, সেটি হলো Windows। এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা Microsoft কোম্পানি তৈরি করেছে।

Windows হলো সবচেয়ে মৌলিক স্তরের সফটওয়্যার। এটি আপনার এবং আপনার কম্পিউটারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এর মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালু করেন, তখন প্রথম যে স্ক্রিন বা ডিসপ্লে দেখতে পান সেটিই অপারেটিং সিস্টেম, অর্থাৎ Windows। এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের অন্যান্য সমস্ত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে।

উইন্ডোজের ইতিহাস

সর্ব প্রথম ১৯৮৩ সালে Microsoft এর প্রতিষ্ঠাতা ‘বিল গেটস’ এই windows প্রতিষ্ঠিত করে। উইন্ডোজ প্রথমবারের মতো ১৯৮৫ সালে উইন্ডোজ ১.০ নামে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি MS-DOS এর উপরে একটি গ্রাফিকাল ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করতো, যেখানে ব্যবহারকারীকে কেবলমাত্র টেক্সট-ভিত্তিক কমান্ড টাইপ করার পরিবর্তে মাউসের মাধ্যমে কমান্ডগুলো বাস্তবায়ন করতে দিত। পরবর্তীকালে উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ এক্সপি, এবং উইন্ডোজ ১০ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও সংস্করণ বাজারে এসেছে।

সংস্করণ – প্রকাশের বছর

  • Windows 1.0 – 1985
  • Windows 1.02 – 1986
  • Windows 1.03 – 1986
  • Windows 1.04 – 1987
  • Windows 2.03 – 1987
  • Windows 2.10 – 1988
  • Windows 2.11 – 1989
  • Windows 3.0 – 1990
  • Windows 3.1 – 1992
  • Windows NT 3.1 – 1993
  • Windows for Work group 3.11 – 1993
  • Windows 3.2 – 1993
  • Windows NT 3.5 – 1994
  • Windows NT 3.5 1 – 1995
  • Windows 95 – 1995
  • Windows NT 4.0 – 1996
  • Windows 98 – 1998
  • Windows 2000 – 2000
  • Windows Me – 2000
  • Windows XP – 2001
  • Windows XP Professional x64 Edition – 2005
  • Windows Vista – 2007
  • Windows 7 – 2009
  • Windows 8 – 2012
  • Windows 8.1 – 2013
  • Windows 10 – 2015
  • Windows 11 – 2021

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভার্সনের তালিকা – Windows Version name

  • Windows 1.0
  • Windows 2.0
  • Windows 3.0
  • Windows 3.1
  • Windows 95
  • Windows 98
  • Windows Me
  • Windows 2000
  • WindowsXP
  • Windows 7
  • Windows Vista
  • Windows 8
  • Windows 10
  • Windows 11

উইন্ডোজ কত প্রকার ও কী কী

উইন্ডোজ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। সাধারণভাবে এটি দুই প্রকারে ভাগ করা যায়:

  1. সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম: এটি এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যেখানে একসাথে কেবলমাত্র একজন ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে উইন্ডোজ ৯৮ বা উইন্ডোজ এক্সপি নেওয়া যেতে পারে।
  2. মাল্টিপল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম: এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে একাধিক ব্যবহারকারী একই সাথে কাজ করতে পারে। যেমন: উইন্ডোজ সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম।
1. সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?

Single User Operating System হলো এমন একটি সফটওয়্যার, যা একসাথে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারী দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে। এর মানে হলো, একই সময়ে একটি কম্পিউটারে কেবল একজন ব্যবহারকারী কাজ করতে পারবেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আপনি বাড়িতে যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি ব্যবহার করছেন, সেটি একটি Single User Operating System। অর্থাৎ, এক সময়ে শুধুমাত্র আপনি সেই কম্পিউটারে কাজ করতে পারবেন।

2. মাল্টিপল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?

মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমে একাধিক ব্যক্তি একই সময়ে একসাথে একটি কম্পিউটারে কাজ করতে পারে। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত বড় কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদির মতো স্থানে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একাধিক ব্যবহারকারীকে একই কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করতে হয়।

উইন্ডোজ কোন ধরনের সফটওয়্যার?

উইন্ডোজ হলো একটি প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যার। এটি ওপেন সোর্স নয়, অর্থাৎ এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয় এবং এটি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন।

Windows হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার (যেমন কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার) এবং সমস্ত সফটওয়্যার (যেমন গেম, ইন্টারনেট ব্রাউজার) এর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগ সম্পাদন করে।

এই সফটওয়্যার যেকোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করে এবং এটি নির্ধারণ করে কোন সফটওয়্যার কিভাবে, কখন এবং কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।

Windows হলো এমনই একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা আপনাকে কম্পিউটার পরিচালনায় সাহায্য করে। উদাহরণ হিসেবে, যখন আপনি কীবোর্ডের মাধ্যমে কোনো কী চাপেন, তখন অপারেটিং সিস্টেম সেটি বুঝে এবং তার প্রতিক্রিয়া কম্পিউটারের স্ক্রিনে প্রদর্শন করে।

আপনি যখন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তখন Windows সেই সফটওয়্যারকে প্রয়োজনীয় ডেটা যেমন মেমোরি, প্রসেসর এবং সময় সরবরাহ করে, যাতে এটি সহজে ও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

সংক্ষেপে, Windows এমন একটি সফটওয়্যার যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানে সহায়তা করে, যাতে তারা সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ১০টি বৈশিষ্ট্য

  1. গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI): সহজে ব্যবহারের সুবিধা এবং যে কেউ একে ব্যবহার করতে পারে।

    উদাহরণ: এপ্লিকেশন ম্যানেজ,স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার।

  2. মাল্টিটাস্কিং(Multitasking): একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে চালানোর সুবিধা। উদাহরণ: একই সময়ে একটি Word Document , এবং  ইন্টারনেট ব্রাউজার  নিয়ে কাজ করতে পারা যায় ।
  3. প্লাগ অ্যান্ড প্লে(Plug and Play): হার্ডওয়্যার সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
  4. নেটওয়ার্কিং সুবিধা(Networking): নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সহজ সংযোগ

    করার সুবিধা সাথে সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণ: ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ।

  5. সিকিউরিটি ফিচার(Security): ফায়ারওয়াল ও অ্যান্টিভাইরাস সাপোর্ট। উইন্ডোজের মধ্যে এক বিল্ট-ইন অ্যান্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল রয়েছে যা আপনার কম্পিউটার কে ভাইরাস,ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষ্যা করে। উদাহরণ: উইন্ডোজ ডিফেন্ডার।
  6. বহুভাষা সাপোর্ট(Language): বিভিন্ন ভাষার সমর্থন।
  7. রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট(Resource Management): হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পদের সঠিক ব্যবহার।
  8. ব্যাকওয়ার্ড কম্প্যাটিবিলিটি(Backward Compatibility): পুরনো সফটওয়্যারের সাথে সামঞ্জস্য।
  9. ফাইল ম্যানেজমেন্ট(File Management): ফাইল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সহজ। সহজেই ফাইল এবং ফোল্ডার খুলতে, ডিলিট করতে, তার নাম পরিবর্তন করতে ইত্যদি সমস্ত কাজ সহজে করতে পারা যায়। উদাহরণ: ফাইল এক্সপ্লোরার।
  10. রেগুলার আপডেট(Update): মাইক্রোসফট দ্বারা নিয়মিত আপডেট প্রদান।

    windows এ নিজে আপডেটেড রাখার সাথে সাথে অন্যান application ও সিস্টেম আপডেট রাখার সুবিধা দিয়ে থাকে। উদাহরণ: নতুন বৈশিষ্ট্য এবং নিরাপত্তা প্যাচ।

  11. কন্ট্রোল প্যানেল(Control Panel): সিস্টেম সেটিংস পরিচালনার কেন্দ্র। উদাহরণ: হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সেটিংস।
  12. ভার্চুয়াল ডেস্কটপ(Virtual Desktop): এখানে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করার সুবিধা দেয়।উদাহরণ: কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য আলাদা ডেস্কটপ।

  13. টাস্ক ম্যানেজার(Task Manager): কোনো software বা হার্ডওয়্যার যখন কোনো কাজ করে তার রক্ষনা বেক্ষণ করে , যাতে কম্পিউটার সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। উদাহরণ: CPU এবং মেমরি ব্যবহার।

  14. উইন্ডোজ অনুসন্ধান(Windows Search):কোনো ফাইল বা ফোল্ডার কে দ্রুত খুজতে, বা কোনো সেটিংকে খুঁজে বের করতে, সাহায্য করে উদাহরণ: স্টার্ট মেনু দিয়ে সকল সেটিং, application কে বের করতে পারি।

  15. উইন্ডোজ স্টোর(Windows Store): অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার জন্য একটি ভালো  প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। উদাহরণ: গেমস এবং প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ।
  16. উইন্ডোজ হ্যালো( Windows Hello): বায়োমেট্রিক লগইন করার সুবিধা দিয়ে থাকে। উদাহরণ: ফেস রিকগনিশন এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ইত্যাদি।

  17. উইন্ডোজ ইঙ্ক( Windows Ink): একটি স্টাইলাস কলম এর সুবিধা দেয়। যেখানে windows screen তে pen বা Styles এর ব্যবহার করে দ্রুত নোট লিখতে,অঙ্কন, হাইলাইট ইত্যাদি কাজ গুলি করতে পারা যায়। উদাহরণ: নোট তৈরি করা এবং অঙ্কন করা।

  18. উইন্ডোজ স্ন্যাপ( Windows Snap): windows এর এটি এমন এক বৈশিষ্ট যেখানে এক screen এ অনেক গুলি windows কে চালাতে পারেন। যা আপনার কাজকে আরো বেশি সহজ, ও দ্রুত করে তোলে। উদাহরণ: একটি স্ক্রিনে দুটি অ্যাপ্লিকেশন পাশাপাশি রাখা।

  19. উইন্ডোজ টাইমলাইন( Windows Timeline): উইন্ডোজ টাইমলাইন হলো এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা আপনাকে গত কয়েকদিন ধরে আপনি কম্পিউটারে যে কাজ গুলি করেছে তার এক History তৈরী করে রাখে।

    উদাহরণ: আপনি গতকাল একটি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেছেন এবং আজ আবার এটিতে কাজ করতে চান৷  টাইমলাইনে গিয়ে, আপনি সহজেই সেই ডকুমেন্ট খুঁজে কাজ করতে পারেন।

উইন্ডোজের কাজ

উইন্ডোজ মূলত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার পরিচালনা, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, নেটওয়ার্কিং এবং ব্যবহারকারীর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার চালানোর কাজ করে। এটি ব্যবহারকারীদের নানান প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন চালানোর মাধ্যমে সহজেই কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ দেয়।

সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম

এটি এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেখানে একই সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। উদাহরণ: উইন্ডোজ ৯৮।

মাল্টিপল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম

এটি এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা একাধিক ব্যবহারকারীকে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়। উদাহরণ: উইন্ডোজ সার্ভার।

উইন্ডোজের কাজের তালিকা

  1. ফাইল ও ডিরেক্টরি ম্যানেজমেন্ট।
  2. হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ।
  3. নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট সংযোগ।
  4. মাল্টিটাস্কিং প্রোগ্রাম চালানো।
  5. প্রিন্টিং ব্যবস্থাপনা।
  6. ডেটাবেস সংযোগ ও ব্যবস্থাপনা।
  7. সিকিউরিটি ফিচার প্রদান।
  8. সফটওয়্যার ইনস্টলেশন ও ব্যবস্থাপনা।
  9. ড্রাইভার ম্যানেজমেন্ট।
  10. রিমোট ডেস্কটপের মাধ্যমে দূরবর্তী কম্পিউটার পরিচালনা।
  11. ভার্চুয়াল মেশিন সাপোর্ট।
  12. ফাইল এনক্রিপশন।
উইন্ডোজ কি একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার?

আমরা জানি যে সোর্স কোডের উপলব্ধতার ভিত্তিতে সফটওয়্যারকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:

  1. Open Source Software
  2. Closed Source Software

Open Source Software হলো এমন সফটওয়্যার যার সোর্স কোড সবার জন্য উন্মুক্ত। এর অর্থ, যে কেউ এর কোড দেখতে পারে এবং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে। এর সবচেয়ে জনপ্রিয় উদাহরণ হলো Linux Software

অন্যদিকে, Closed Source Software হলো এর বিপরীত। এর সোর্স কোড সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত নয় এবং কেউ এটি দেখতে বা পরিবর্তন করতে পারে না। এই ধরনের সফটওয়্যারকে Proprietary Software বা মালিকানাধীন সফটওয়্যার বলা হয়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো Windows Software

উইন্ডোজের ১২ টি কাজ – Advantage of Windows

Windows হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা আপনার কম্পিউটারের ফাইল এবং ফোল্ডারগুলোকে ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে কম্পিউটার পরিচালনা আরও সহজ হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিটি কম্পিউটারে একটি বিল্ট-ইন ফাইল ম্যানেজার থাকে, যেমন Windows সিস্টেমে এটি ‘File Explorer’ নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার কম্পিউটারের গান, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি আলাদা আলাদা ফোল্ডারে সংরক্ষণ করতে পারেন, যা পরবর্তীতে নির্দিষ্ট কোনো ফাইল খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

সফটওয়্যার ইনস্টলেশন (Software Installation):

Windows কম্পিউটারে যেকোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করার অনুমতি দেয়। সফটওয়্যার ইনস্টল হওয়ার পর এটি নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে কার্যকর হয়।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং (Internet Browsing):

Windows ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা দেয়, যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে যেকোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বা কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

মাল্টিমিডিয়া প্লেব্যাক (Multimedia Playback):

মাল্টিমিডিয়া প্লেব্যাকের মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে গান, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি ফাইল দেখতে এবং শুনতে পারেন।

ডকুমেন্ট ক্রিয়েশন (Document Creation):

Windows-এ ডকুমেন্ট তৈরি করা সহজ, যেমন Word, Excel, ইমেজ, গ্রাফিক্স ইত্যাদি ফাইল তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়।

ইমেইল ম্যানেজমেন্ট (e-Mail Management):

Windows ইমেইল পরিচালনা করার জন্য Outlook, Windows Mail, Gmail এবং অন্যান্য ইমেল ক্লায়েন্ট সরবরাহ করে, যার মাধ্যমে আপনি ইমেইল পাঠানো, পড়া, মুছা এবং সংগঠিত করতে পারেন।

প্রিন্টিং (Printing):

Windows থেকে কোনো ডকুমেন্ট, ছবি বা টেক্সট প্রিন্ট করা যায়।

সিস্টেম আপডেট (System Update):

Windows সিস্টেম আপডেটগুলি ছোটখাটো সংশোধন এবং নতুন ফিচার যোগ করে, যা আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত এবং কার্যকর রাখে।

সিকিউরিটি (Security):

Windows-এর সিকিউরিটি ফিচার কম্পিউটারকে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

নেটওয়ার্কিং (Networking):

Windows নেটওয়ার্কিং সুবিধা দেয়, যার মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার সংযোগ স্থাপন করে ডেটা ভাগ করা, মেসেজ পাঠানো এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। উদাহরণ হিসেবে, আপনার বাড়ির Wi-Fi নেটওয়ার্ককে Windows নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ডিস্ক ক্লিনআপ (Disk Cleanup):

Windows-এর ডিস্ক ক্লিনআপ টুল অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে মুছে দেয়, যা আপনার হার্ড ডিস্কের স্থান খালি করতে সহায়ক।

উইন্ডোজ ব্যাকআপ (Windows Backup):

Windows ব্যাকআপ ফিচারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং সেটিংসের কপি তৈরি করা যায়, যা কোনো সমস্যা হলে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

উপরোক্ত সমস্ত কাজগুলো Windows অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা করা যায়। এছাড়াও, ইন্টারনেটে আরও জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, যেমন macOS, Linux, Android, iOS। এর মধ্যে শুধুমাত্র Linux একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার।

Microsoft Windows সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • উইন্ডোজ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম।
  • উইন্ডোজ প্রথম গ্রাফিকাল ইন্টারফেসযুক্ত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি।
  • উইন্ডোজ ১০ এর ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এটি নিয়মিত আপডেট পাচ্ছে।

FAQs

  1. উইন্ডোজ বলতে কি বোঝায়?
    উইন্ডোজ হলো একটি গ্রাফিকাল অপারেটিং সিস্টেম যা ব্যবহারকারীকে কম্পিউটার পরিচালনার সুবিধা দেয়।
  2. উইন্ডোজ কত প্রকার ও কি কি?
    উইন্ডোজ মূলত দুই প্রকার: সিঙ্গেল ইউজার এবং মাল্টিপল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।
  3. উইন্ডোজ কি ধরনের সফটওয়্যার?
    উইন্ডোজ প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যার।
  4. উইন্ডোজ এর কাজ কি?
    এটি হার্ডওয়্যার পরিচালনা, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালানোর কাজ করে।
  5. উইন্ডোজ এক্সপি কোন ধরনের সফটওয়্যার?
    উইন্ডোজ এক্সপি একটি সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।
  6. ভারতের Microsoft company এর brand ambassador কে?
    মাইক্রোসফট ভারতে বিভিন্ন সময়ে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর পরিবর্তন করেছে, তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আপডেটেড সোর্স প্রয়োজন।

Related posts

ফেসবুক থেকে সহজেই ভিডিও ডাউনলোড করুন

News Desk

ডাটা অতি মূল্যবান সম্পদ : পলক

News Desk

আজ পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে সৌরঝড় (ভিডিও)

News Desk

Leave a Comment