মহাকাশে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করলেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাঁরা এমন এক ডজন আপাত-নক্ষত্র বা কোয়েসার আবিষ্কার করেছেন যা প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া মহাজাগতিক বা কসমিক “লেন্স” দিয়ে আবৃত। যার ফলে চারটি একই রকমের ইমেজ তৈরি হচ্ছে। এই কোয়েসার আসলে হল এক ধরনের আপাত-নাক্ষত্রিক বেতার উৎস। একটি তড়িৎ চৌম্বকীয় শক্তির উৎস। এর থেকে লাল আলো বের হয়।
এক্ষেত্রে চারটি একই রকম ছবি ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে এই কোয়েসারগুলি দূরবর্তী ছায়াপথে অবস্থিত। সেখানেই ছায়াপগুলি চূড়ান্ত আলোকিত করার কেন্দ্র এগুলি। আর এই নক্ষত্রগুলি চালিত হয় সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল দ্বারা। এই বিরল আবিষ্কারের ফলে পরিচিত কোয়েসারের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ পেয়েছে। এটি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার নির্ধারণ করতে এবং অন্যান্য রহস্য সমাধানের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে সহায়তা করতে পারবে। চারদিকে চিত্রযুক্ত কোয়েসার মহাজগতে বিরল। প্রথম এই ধরনের ছবি ১৯৮৫ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। গত চার দশক ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই চার চিত্রযুক্ত প্রায় পঞ্চাশটি কোয়েসারের সন্ধান করেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (DST) তরফে জানানো হয়েছে একটি বৃহৎ আকৃতির ছায়াপথের মহাকর্ষ যখন একটি কোয়েসারের বিভাজনের সামনে আসে তখন একটি চিত্রের বদলে চারটি ছবি তৈরি হয়।
গাইয়া গ্র্যাভিটেশনাল লেন্স ওয়ার্কিং গ্রুপ (Gral)-এর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণায় নৈনিতালের আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অবজারভেশনাল সায়েন্সেসের (ARIES)-এর বিজ্ঞানীরাও যুক্ত ছিলেন। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি সংস্থা। কেবল দেড় বছর ব্যাপী অনুসন্ধান চালান তাঁরা। মেশিনের শক্তির সাহায্যে এই মহাজাগতিক রত্নগুলির জন্য তাঁরা অনুসন্ধান করছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, এই অনুসন্ধান ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল’-এ প্রকাশের জন্য এই গৃহীত হয়েছে। আমেরিকার জেট প্রপুলেশন ল্যাবরেটরির তরফে জানানো হয়েছে “কোয়ার্সেস বা কোয়াড হল প্রত্যের প্রশ্নের উত্তরের জন্য সোনার খনি। এগুলি মহাবিশ্বের প্রসারণের হার নির্ধারণ করতে সক্ষম। এছাড়া ডার্ক ম্যাটার এবং কোয়ারের মতো অন্যান্য রহস্যের সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে কোয়ারের সেন্ট্রাল ইঞ্জিন।