Image default
প্রযুক্তি

গুহায় উদ্ধার ‘হায়নামুখো’ মানব দেহ! আবিষ্কারে তাজ্জব বিজ্ঞানীমহল

শুধু তাই নয় ৩৫ হাজার বছর আগে বেঁচে থাকা এক মহিলারও দেহ উদ্ধার হয়েছে বুলগেরিয়ার একটি গুহায়। ড্রায়ানোভো শহরে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মানবজাতির অতিপ্রাচীন দেহের।

৪৫ হাজার বছর আগের তিনজন পুরুষের দেহাবশেষ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। শুধু তাই নয় ৩৫ হাজার বছর আগে বেঁচে থাকা এক মহিলারও দেহ উদ্ধার হয়েছে বুলগেরিয়ার একটি গুহায়। ড্রায়ানোভো শহরের বাচো কিরো গুহায় খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মানবজাতির অতিপ্রাচীন দেহের।

হোমো স্যাপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় আসে আনুমানিক ৩ লক্ষ বছর আগে। পরে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পৃথিবীতে জীবিত প্রাণীদের মধ্যে প্রাচীন হোমো স্যাপিয়েন্সদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ স্বজন হচ্ছে শিম্পাঞ্জি ও বোনোবো। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, ৬০ লক্ষ বছরের বেশি সময় আগে আধুনিক মানুষ ও এদের এক পূর্বপুরুষ ছিল। ওই অভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যে প্রজাতি তৈরি হয়েছিল তা হোমিনিন।

লক্ষ লক্ষ বছর ধরে হোমিনিনরা অনেকটাই বানরের মতো দেখতে হয়। যে দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হায়নামুখো দেখতে। তারা ছিল ছোট, মস্তিষ্কের আকার ছিল ছোট এবং সাধারণ পাথরের অস্ত্র-সরঞ্জামই কেবল তৈরি করতে পারত তারা। এর আগে মরক্কোতে পাওয়া যায় প্রায় তিন লক্ষ বছর আগের নমুনা। এর মধ্যে একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, গোড়ার দিকের হোমো স্যাপিয়েন্সদের মুখাবয়ব অনেকটাই ছিল আমাদের এখনকার মতো। তবে মস্তিষ্কের গড়নে ছিল মৌলিক পার্থক্য।

নতুন পাওয়া নমুনার ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর মধ্যে ৩ থেকে ৩.৮ শতাংশ নিয়ান্ডারথাল ডিএনএ মিলেছে। ৬০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের কিছু পূর্বসূরি আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে ইউরোপ, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসতি গড়েন। তারা প্রস্তর যুগের বিশেষ প্রজাতির মানুষের সঙ্গে মিশে যান। তাদের ডিএনএ আমাদের জিন পুলে প্রবেশ করে। এরপর সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।

Related posts

ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করছে ইন্টারনেট

News Desk

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আকর্ষণীয় ছবি শেয়ার করল নাসা

News Desk

মঙ্গলে হেলিকপ্টারে ওড়ানো স্থগিত করলো নাসা!

News Desk

Leave a Comment