ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের মানুষের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। নারী উদ্যোক্তা তৈরিতেও এই প্রযুক্তি অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন কেবল বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্তই নয়, এই কর্মসূচি ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দারিদ্র ও বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার।
মন্ত্রী ঢাকায় বিআইআইএসএস মিলনায়তনে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইউএন ইসকাপ ও বিআইআইএসএস আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণ বিষয়ক তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, বিআইআইএসএস’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল এম এ সাদি, ইসকাপ’র সাউথ এন্ড সাউথ ওয়েস্ট এশিয়ার উপ-পরিচালক ড. রাজেন এস রত্না, ইউএনআরসি প্রতিনিধি সুবর্ণা, সাউথ এশিয়া উইমেন ডেভেলপমেন্ট ফোরামের বাংলাদেশ চেপ্টারের সভাপতি নাসরিন এফ আউয়াল এবং উইমেন ইন ই-কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি নাসিমা আক্তার বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে ক্রস বর্ডার নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নারী উদ্যোক্তাদের ৫ম শিল্পবিপ্লবের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাখ লাখ নারী উদ্যোক্তা ডিজিটাল কমার্সে যুক্ত হয়েছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতায় নারীরা তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল করছে। ডিজিটাল কমার্সে নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ডিজিটাল সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি বলেন, মায়েরা তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। সন্তানকে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নিরুৎসাহিত না করার জন্য মায়েদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ডিভাইস ব্যবহার করবে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনারা।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপ থেকে ১১০ জন নারী উদ্যোক্তা তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।