টানা পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ স্কুল অব গভর্নেস (বিডিসিগ)-২০২১। বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী এ ফোরাম।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ইনু বলেন, আমরা বর্তমান সময়ে এমন কিছু সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। যেমন আইসিটির বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবহার করতে পারলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইসিটি অন্যতম হাতিয়ার। এছাড়া নারী উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নসহ নানা বিষয়ে আইসিটি আমাদের সাহায্য করতে পারে। এর জন্য সরকার সাইবার স্পেস বাড়াতে কাজ করছে।
ইন্টারনেট মানুষের সাধারণ মানবাধিকারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা এখন শুধু অনুধাবনই করা যাচ্ছে না বরং ইন্টারনেট মানুষের সাধারণ মানবাধিকারে পরিণত হয়েছে। কারণ আমরা যে প্রযুক্তিগত সমাজের কথা বলছি সেখানে মানুষজন এখনও আইসিটি সম্পর্কে শিক্ষিত নন। ই-নাগরিক ও ই-প্রশাসনের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া ইনু নতুন নতুন প্রযুক্তিকে মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহারের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে দ্বিধা ও বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায় তার জন্য এসব প্রযুক্তিকে সরকারি জবাবদিহিতার মধ্যে আনার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে স্কুলের ফোরাম পর্বের প্যানেল আলোচনা শুরু হয়।
এবারের আসরে অর্ধ শতাধিক অংশগ্রহণকারীদের দুই দিনব্যাপী ফেলোশিপের অধীন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট গভর্নেন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টারনেট গভর্নেস, ব্লকচেইন, ডাটা প্রটেকশন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল ইকোনমি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো বিষয়ে এবার প্রশিক্ষণ পাবেন অংশগ্রহণকারীরা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক, আইটি, আইসিটি পেশাজীবী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা এখানে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম দিনের ভার্চ্যুয়াল সেশনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু সঞ্চালনা করেন।