অনেকেই অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা কে নিজের জীবনের আদর্শ হিসেবে মনে করেন। প্রয়াত জবসের জীবনের গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়েন। সেগুলো আবার অনুসরণও করেন।
জবসের জীবনী থেকে জানা যায়, তিনি যেকোনো নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে বারবার পরীক্ষা করতেন। কেননা তিনি ছিলেন খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের। আর এর জন্য তিনি অদ্ভুত অদ্ভুত পরীক্ষাও চালাতেন।
ঠিক তেমনি আইপড বাজারে ছাড়ার আগে তিনি এক অদ্ভুত কাণ্ড করেন। আইপ্যাডের পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সেটিলেটেস্ট তিনি একবার অ্যাকুয়ারিয়ামের পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন।
অ্যাপলের সাবেক কর্মী অমিত চৌধুরী প্রশ্নোত্তরভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোরায় সে ঘটনাই সবাইকে শুনিয়েছেন।
তখন কেবল অ্যাপলের প্রকৌশলীরা আইপডের পরীক্ষামূলক মডেল বা প্রথম প্রোটোটাইপ বানিয়েছেন। পরে সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য স্টিভ জবসের কাছে নিয়ে গেলেন।
প্রথমে জবস ডিভাইসটি নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলেন। ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন, ওজন পরীক্ষাও করলেন। কিছুক্ষণ পর সেটি বাতিল করে দিলেন। কারণ দেখালেন, এটি আকারে অনেক বড়।
তখন প্রকৌশলীরা জবসকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বারবার বললেন, ডিভাইসটি তৈরির পুরো প্রক্রিয়া এমনভাবে সম্পন্ন হয়েছে যে এর চেয়ে আর কোনোভাবেই ছোট করা সম্ভব না।
এসব শুনে জবস কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। কাউকে কিছু না বলে আইপড নিয়ে সোজা চলে গেলেন ঘরে থাকা অ্যাকুরিয়ামের কাছে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আইপডের প্রোটোটাইপটি নির্দ্বিধায় ফেলে দিলেন পানিতে। দেখা গেল, সেটি থেকে বুদ্বুদ বেরিয়ে আসছে।
জবস সঙ্গে সঙ্গে তুড়ি বাজিয়ে বললেন, ‘ওই দেখো বুদ্বুদ। এর মানে ভেতরে ফাঁকা জায়গা রয়েছে। এটাকে আরও ছোট করো।’
অ্যাপলের ওই প্রকৌশলীরাও তখন কম অবাক হননি। তাঁরা এভাবে ভেবে দেখেননি।
২০০১ সালের অক্টোবরে জবস প্রথম আইপড বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন। সেটি ছিল ১৯ দশমিক ৮ মিলিমিটার পুরু। অ্যাপলের সর্বশেষ আইপডে পরিমাপটি কেবল ৬ দশমিক ১ মিলিমিটার।