আপত্তিকর ছবি ও তথ্য উপাত্তসহ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পোস্ট অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-এর সাথে সচিবালয়ে তার দপ্তরে ফেসবুকের উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এসে এই আশ্বাস প্রদান করে।
আপত্তিকর ছবি ও তথ্য উপাত্তসহ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পোস্ট অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-এর সাথে সচিবালয়ে তার দপ্তরে ফেসবুকের উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এসে এই আশ্বাস প্রদান করে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ফেসবুকের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিমন মিলনার। ফেসবুক প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্য হলেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাবনাম রশীদ দিয়া এবং রোজাও। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান এবং বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ ।
দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা, নৈরাজ্য ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে গুজব ছড়াতে ফেসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ জাতীয় উপাত্ত অপসারণ ও ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ দেন। তিনি ফেসবুকের কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপনেরও পরামর্শ দেন।
ফেসবুকের সাথে বার্সেলোনায় ২০১৮ সালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিগত দিনগুলোতে ফেসবুকের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের আশানুরূপ অগ্রগতি হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের সংযুক্তি প্রসারিত হয়। ফেসবুক পৃথিবীর অনেক জায়গায় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দিয়ে আসছে। তিনি বাংলাদেশেও অনুরূপ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ প্রদানে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ফেসবুকের কমিউনিটি মানদন্ডের বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিকাশমান অগ্রগতি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে মন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৩ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
সাক্ষাৎকালে ওটিপি গাইড লাইন ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। প্রতিনিধিদলের নেতা ফেসবুকের বিদ্যমান ইস্যুগুলো নিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, দেশের শতকারা ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তার, ফাইভ-জি চালু ও ফাইভ-জি স্পেকট্রাম নিলামসহ ডিজিটাল অবকাঠামো বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে।