মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী, মেহেরপুর প্রতিনিধি: স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করতে চেয়েছিলেন সৌদিফেরত যুবক রফিকুল। কিন্তু বিধি বাম! স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে গলায় ফাঁ-স দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেয়ার মতো অভিশপ্ত পথ বেছে নিতে হলো তাকে।
শনিবার, ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় ফাঁ-স লাগিয়ে আ-ত্ম-ঘা-তী হন রফিকুল। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলাধীন কাষ্টদহ গ্রামের ইদু বক্সের ছেলে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি ডালিম জানান, সংসারের সুখের জন্য ও জীবন-জীবিকার তাগিদে রফিকুল ইসলাম সৌদি আরব যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সালমার সাথে অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রফিকুলের ভাতিজা সুমনের। তাদের দুজনের গোপন অভিসারের খবর জেনে যায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা। সেই সাথে জানতে পারেন রফিকুলও।
অবশেষে সবকিছু ত্যাগ করে বছর তিনেক আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল সব কিছু মেনে নেন এবং স্ত্রী সালমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তারপরও পরিবারের লোকজনের কথায় স্ত্রীকে নিজ বাড়িতেই রাখেন।
স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করলেও সালমা গোপনে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক অব্যাহত রাখে রফিকুলের ভাতিজা সুমনের সাথে। স্ত্রী সালমাকে সুপথে আনতে ভাতিজা সুমনকে সাত মাস আগে দুবাই পাঠিয়ে দেন রফিকুল। তারপরও গোপনে সম্পর্ক রাখে সালমা।
বিষয়টি জানাজানি হলে রফিকুল ও সালমার মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সালমা রাগ করে চলে যায় তার বাবার বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিখা গ্রামে। পরিবারের লোকজন সালমাকে মেনে নিতে না চাইলেও রফিকুল স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু রফিকুলের সাথে সালমা কোনো কথা বলেন না। সে পরকীয়া প্রেমিক সুমনের সাথে ঘর বাঁধার জন্য ব্যাকুলতা প্রকাশ করতে থাকে।
গত শনিবার পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটি হলে দুজন দুই ঘরে থাকেন। পরদিন সকালে রফিকুলের নিথর ম-র-দে-হ ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে ঝু-ল-তে দেখেন পরিবারের লোকজন। স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরেই রফিকুল নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন- এমনটাই দাবি তার পরিবারের সদস্যদের।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, আ-ত্ম-হ-ত্যা-র ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হলে এবং পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।