কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিদ্যালয়ের কক্ষে আটকা পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কার্যক্রম চলছিল। হঠাৎ বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। এতে পুরো বিদ্যালয় ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দোতলার বারান্দার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। ততক্ষণে আগুনও নিভে যায়।
ঘটনার সময়ে বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আগুন লাগার খবরে বিদ্যালয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা হুড়াহুড়ি করে দোতলা থেকে নামতে যায়। এসময় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর অভিভাবকরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান, পৌর মেয়র এম মোরশেদসহ শিক্ষা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
আগুন লাগার সময় শ্রেণিকক্ষে ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করে। তবে শিক্ষার্থীরা ভালো আছে। কেউই গুরুতর আহত হয়নি। হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে কয়েজন পড়ে গিয়ে হাত ও পায়ে সামান্য ব্যথা পেয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাশন ফায়ার সর্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, অগ্নিকান্ডের সময় তারা বিদ্যালয়ের কাছাকাছিই ছিলেন। তাই খবর পেয়ে দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তারা। এরপর বিদ্যুতের কাটআউট খুলে ফেললে আগুন নিভে যায়। তিনি আরও জানান, দোতলার সিঁড়ির গোড়ায় আগুন লাগায় দোতলায় থাকা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে দোতলার গ্রিল ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই সুস্থ আছেন।