এবার নিজের স্পেস স্টেশন গড়ার উদ্যোগ নিল রাশিয়া। ২০৩০ সালের মধ্যে মহাকাশে স্পেস স্টেশন চালু করার কথা ভাবছে তারা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বুধবার রসকমস স্পেস এজেন্সির তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে। প্রায় ২ দশক ধরে আমেরিকার সঙ্গে স্পেস স্টেশন শেয়ার করছিল রাশিয়া। কিন্তু এবার তারা আলাদা স্পেস স্টেশন বানাতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে মার্কিন মুলুকের সঙ্গে মতনৈক্যের কারণে নিজেদের রাস্তা দেখছে রাশিয়া। রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রগোজিন বলেছেন, “আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা একটিকে কক্ষপথে প্রেরণ করব। এটি বিশাল সাফল্য হতে চলেছে। আমাদের বিশ্ব পরিচালিত মহাকাশ এক্সপ্লোরেশনে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছা আছে।” ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা আমেরিকা এবং অন্য ১৬ টি দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন নিয়ে কাজ করেছেন। মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে এটি একটি দিক।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি বোরিসভ জানিয়ছেন, মস্কো তার পার্টনারদের নোটিস দেবে। সেখানে বলা থাকবে তারা চাইলে ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ছেড়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। দিমিত্রি রোগোজিন এও বলেন রাশিয়ার স্পেস স্টেশনটি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিপরীতে সম্ভবত তৈরি হবে না। কারণ এর কক্ষপথটি এটিকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাবে। কিন্তু মহাকাশচারীরা এটি দেখতে যেতে পারবেন এবং এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট ব্যবহারও করতে পারবেন। রাশিয়া বিদেশী মহাকাশচারীদেরও সেখানে যেতে দিতে প্রস্তুত। সূত্রের খবর যে প্রকল্পটি রাশিয়া চালু করতে চলেছে তাতে ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
নাসা এবং স্পেস এক্স শুক্রবারআন্তজার্তিক স্পেস স্টেশনে একটি নতুন দল পাঠায়। এই দলে রয়েছেন চার মহাকাশচারী। এই ৪ জন ৬ মাস গবেষণা করবেন। তারপর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তাঁরা। পৃথিবীতে ফেরার আগে মহাকাশে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই একটি মহাকাশযানে ওই চার নভোশ্চর মহাকাশে রওনা দিয়েছেন।