এই শিরোনাম যেন করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর। তবে গবেষকরা এমন একটি সন্দেহ করছেন। মানুষের সাপে রূপান্তরিত হওয়ার গল্প আপনারা সিনেমায় দেখেছেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি এটাই সত্যি হয় তাহলে কেমন হবে? সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে যে অদূর ভবিষ্যতে মানুষের যা বিবর্তনের পদ্ধতি আসবে, সেখানে সাপের মতোই বিষাক্ত লালা মানুষের মুখ থেকেও ঝরতে পারে।
সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে যে বিবর্তন এসেছে তার ফলেই তারা বিষ প্রস্তুত করতে পারে নিজেদের মধ্যেই। এবার এমন বিষ মানুষও তৈরি করতে পারবে। মানুষের মধ্যেও এমন জিনগত বদল ঘটলে তারাও পারবে তা করতে।
গবেষকরা পিট ভাইপার সাপ নিয়ে পরীক্ষা করছেন। সেখানেই তারা দেখেছেন যে এই সাপের মধ্যে যে বিষ গ্রন্থি আছে তার সঙ্গে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে থাকা লালা গ্রন্থির মধ্যে রয়েছে দৃঢ় সম্পর্ক। সরীসৃপের মধ্যে যে বিষ রয়েছে সেটা আসলে নাকি প্রোটিন। তারা আত্মরক্ষার সময়ে এই প্রোটিনকে বিষে রূপান্তরিত করতে পারে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেও যে বিষ রয়েছে এটা অদ্ভুত তথ্য। কিন্তু কীভাবে তারা বিষ উৎপাদন করতে সক্ষম? তাইওয়ানের হাবু সাপ নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেছেন যে এই সরীসৃপের ৩,০০০ গ্রন্থি আছে। এই গ্রন্থিগুলি কোষের উপরে বেশি চাপ দেয় না। গবেষকরা বলছেন যে এখন যেটি বিষগ্রন্থি, সেটা একসময়ে নাকি লালা গ্রন্থির কাজ করতো।
তবে শুধু জিনগত কারণে মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তন আসবে না। এর সঙ্গে চাই সঠিক পরিবেশ যেখানে এই পরিবর্তন আসতে পারে সফলভাবে। গবেষকরা আশা করছেন যে পরিবেশ অনুকূল থাকলে এবং জিনের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হলে হয় তো হাজার বছর পর ইঁদুরও সাপের মতো বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। একই ভাবে মানুষের মধ্যেও এই ভাবে বিষ উৎপন্ন করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে বলে বিশেষ সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন গবেষকরা। তবে এই সমস্তটাই সময়ের অপেক্ষা।
তথ্য সূত্র: কলকাতা ২৪x৭ , নিউস বাংলা ১৮