চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরবর্তী মিশন আর্টেমিস টিম-এর সদস্য হিসেবে সম্প্রতি যাদের নাম ঘোষিত হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈচিত্র্য এবং বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধার সাক্ষ্য বহন করছেন। ঘোষিত জনাবিশেক নভোচারীর মধ্যে অর্ধেকই নারী এবং অশ্বেতাঙ্গ।
নাসা আর্টেমিস টিমে তাদের সাম্প্রতিক বাছাই বিশিষ্ট ১৮ মহাকাশচারীর নাম ঘোষণা করেছে, যাদের সবাই এটির পূর্বেকার কোর থেকে আসা।
গত ৯ ডিসেম্বর ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের অষ্টম বৈঠকে এটির চেয়ারম্যান ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, “আর্টেমিস জেনারেশন হলো ভবিষ্যতে আমেরিকান মহাকাশ অভিযানের বীর সেনানি।”
আরোহীদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বিচিত্র। কেউ অপেক্ষাকৃত নবাগত, আবার রেকর্ডধারী ঝানু নভোচারীও আছেন।
১৯৯৬ সাল থেকে নাসার নভোচারী স্টেফানি উইলসন। মহাকাশে সর্বোচ্চ সময় কাটানোর আফ্রিকান-আমেরিকান নভোচারীদের রেকর্ড তার ঝুলিতে। একক নভোযাত্রায় মহাকাশে নারী হিসেবে সর্বোচ্চ ৩২৮ দিন কাটানো এবং ছয়টি স্পেস ওয়াকের কৃতিত্বধারী ক্রিস্টিনা হ্যামক কচ।
কেউ কেউ অভিবাসীর সন্তান। ড. জোনাথান “জনি” কিমের বাবা-মা ১৯৮০-এর দশকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে পাড়ি জমিয়েছিলেন। হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েশন শেষে কিম ইউএস নেভিতে নাম লেখান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অন্যতম সেরা এলিট কোর নেভি এসইএএল-এ যুক্ত হন তিনি। ২০১৬ সালে কিম হার্ভার্ড থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার ডিগ্রি শেষ করেন এবং এক বছর পরে নাসায় যোগ দেন।
৯ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে আর্টেমিসের নবনির্বাচিত নভোচারীদের একজন অ্যান ম্যাকক্লেইন বলেন, “আমরা স্বপ্নচারী, তবে তার চেয়ে বড় হলো আমরা কেজো লোকজনও। দরজা খোলা আছে, আমাদের পরে আপনারাও আসুন।”
চন্দ্রপৃষ্ঠে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের পর ৪৮ বছর কেটে গেছে। নাসা বর্তমানে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে আর্টেমিস নভোচারীদের পাঠানো অথবা চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণের লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
নাসা বলছে, তার আগে আর্টেমিস নভোচারীরা আসন্ন চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি নিতে নাসাকে সহায়তা করবে। আগামী বছর থেকে আর্টেমিস টিম মানব অবতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নাসার বাণিজ্যিক অংশিদারদের সঙ্গে কাজ করবে, একটি প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং কারিগরী সরঞ্জাম নির্মাণে পরামর্শ দেবে।