মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে কল সেন্টার চালু
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।
রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যে কোন ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারবেন এই ই-সেবায়। গতানুগতিক পদ্ধতিতে আর নয়, এখন থেকে কল সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মদ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে এখন পর্যন্ত অর্জিত সমৃদ্ধিকে ধরে রেখে এই খাতকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে চায় সরকার। সমৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিবর্তন আনয়নও সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
মন্ত্রী বলেন, কোন খামারী প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হলে বা কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কাছে তাৎক্ষণিক সুবিধা উন্মুক্ত করার জন্য এ কল সেন্টার কাজ করবে। দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশ্বে বিস্ময়কর ও আধুনিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কল সেন্টার হবে বড় ধরনের সহায়ক।
মন্ত্রী আরও বলেন, কল সেন্টার একটি জরুরি সেবা। এখানে সেবার মনোভাবের পরিবর্তে দায়সারা কোন কার্যক্রম যেন না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। কল সেন্টারে যিনি কল করছেন তিনি এদেশের নাগরিক। সে নাগরিকের সেবা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেবা প্রত্যাশীদের প্রতিটি কল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। নাগরিকদের সেবা দেয়া আমাদের লক্ষ্য। তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবে ডিজিটালাইজেশনের ধারা অব্যাহত রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আমূল পরিবর্তন চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।