Image default
প্রযুক্তি

যে কারনে চাঁদে পারমাণবিক বোমা ফেলতে চেয়েছিলো আমেরিকা

জোছনা রাতে চাঁদের দিকে তাকালে কে না মুগ্ধ হয়। কিন্তু কেমন হতো যদি চাঁদে পারমানবিক বোমা ফেলা হতো ? খুবই হাস্যকর মনে হলেও একটা সময় এমন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলো আমেরিকা। সারা বিশ্বে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে চাঁদেই ফেলতে চেয়েছিলো পারমানবিক বোমা! কিন্তু কেনও এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা করেছিলো তারা?

দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনাকে ” স্পেস ওয়ার” বলা হয়। শুরুর দিকে আমেরিকা এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে তারা পিছিয়ে পড়ে।

রাশিয়া ১৯৫৭ সালের ৪ই অক্টোবর স্পুটনিক – ১ নামে উপগ্রহ চালু করলে আমেরিকার জনগণ হতাশ হয়ে পড়ে। কারন, আমেরিকা আগে ঘোষণা দিলেও তারা পরপর দুইবার ব্যর্থ হয় মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে। এই ঘটনা সেসসয় “স্পুটনিক ক্রাইসিস” নামে পরিচিতি পায়। মার্কিন জনগনকে এই হতাশা থেকে মুক্তি দিতে আমেরিকান সরকার এক ভয়ংকর পরিকল্পনা করে। তারা ঠিক করে, পারমানবিক বোমা ফেলে চাঁদ থেকে ” মাশরুম মেঘ” বের করে আমেরিকা বিশ্ববাসীর চোখ ছানাবড়া করে দিবে।

এই লক্ষ্যে ১৯৫৮ সালের মে মাসে লিওনার্দ রাইফেলের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি টিম গঠন করা হয়। চরম গোপনীয়তার সাথে গবেষণাটি শুরু হয়। তখন প্রজেক্টের নাম রাখা হয়, প্রজেক্ট A119। গবেষণার পর W 25 নামে একটি বোমা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিকল্পনা করা হয়, একটা রকেটে করে এই বোমা বহন করে গিয়ে গিয়ে চাঁদের অন্ধকার অংশে ফেলা হবে। এতে পুরো পৃথিবী থেকে মাশরুম মেঘ দেখা যাবে। বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়ে যাবে আমেরিকার ক্ষমতা দেখে।

তবে ১৯৫৯ সালের সালের জানুয়ারি মাসে এই প্রজেক্ট বাতিল করা হয়। বলা হয়, জনগণের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ভয়ই ছিলো বাতিল করার কারন। ১৯৯৯ সালে এই প্রজেক্টে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানী কার্ল সেগানের আত্মজীবনী প্রকাশ পায়। তখন এটি সর্বপ্রথম জনসাধারণের নজরে আসে। তবে আমেরিকান সরকার কখনই এ ব্যাপারে কোনও ব্যক্তব্য প্রকাশ করেনি।

Related posts

মুক্তির অপেক্ষায় বীরকন্যা প্রীতিলতা

News Desk

গুগলের বিরুদ্ধে ডেইলি মেইলের মামলা

News Desk

ক্লাউড কম্পিউটিং : কি, কিভাবে কাজ করে, প্রকারভেদ, সুবিধা এবং অসুবিধা এবং এর ভবিষ্যৎ

News Desk

Leave a Comment