গত মাসেই আমরা জানতে পেরেছিলাম যে, Google Earth প্ল্যাটফর্মে ‘Timelapse’ নামে এমন একটি দুর্দান্ত ফিচার আসতে চলেছে, যার সাহায্যে বাস্তব জীবনে কিছুটা হলেও টাইম মেশিনের স্বাদ পাওয়া যাবে; জানা যাবে কোনো জায়গার কয়েক দশক আগের চেহারা। সেক্ষেত্রে এই খবর সামনে আসার কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর, Google অবশেষে তার এই গুরুত্বপূর্ণ Google Earth পরিষেবাটির জন্য একটি নতুন আপডেট রোলআউট করেছে, যাতে বহু প্রত্যাশিত ‘Timelapse’ ফিচারটি সমস্ত ইউজারের জন্য উপলব্ধ হয়েছে। টেক জায়ান্ট সংস্থাটির দাবি, ২০১৭ সালের পর থেকে বিগত চার বছরে এটিই Google Earth-এ আসা বৃহত্তম আপডেট যা ইউজারকে সময়ের সাথে পৃথিবী কীভাবে বিকশিত হয়েছিল তা দেখার সুযোগ করে দেবে।
অবগতির জন্য বলে রাখি, এই ফিচারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগেই উপলব্ধ হয়েছিল এবং এটির নামকরণ করা হয়েছে টাইমল্যাপস (Timelapse) নামের একটি জনপ্রিয় ক্যামেরা ফিচার থেকে, যা ধীরে ধীরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ের, যেমন আকাশে রাত ও দিনের পরিবর্তনের মতো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে। সেক্ষেত্রে, Google Earth-এর ফিচারটিতে সংস্থার উপগ্রহ মারফত রেকর্ড করা পৃথিবীর কয়েক বছরের ছবি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কার্যকারিতার কথা বললে, এই ফিচারটি Google Earth-এর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ট্যাবলেট এবং ডেস্কটপ সংস্করণে সমান তালে কাজ করবে। এবং এটির সাহায্যে ইউজাররা বৈশ্বিক এবং স্থানীয় উভয় স্তরেরই পরিবর্তন ট্র্যাক করতে পারবেন। তবে আগে বলা হচ্ছিল যে এই ফিচারটির সাহায্যে ৮০ বছর আগের এরিয়াল ইমেজ দেখা যাবে; কিন্তু এই আপডেট রোলআউটের পর জানা গিয়েছে, ফিচারটি বিশ্বের ৩৭ বছর অর্থাৎ চার দশকের পুরোনো চেহারা দেখাতে সক্ষম হবে।
এই বিষয়ে একটি ব্লগ পোস্টে Google জানিয়েছে যে, নতুন আপডেটের পর ইউজাররা ধরিত্রীকে সময়ের আঙ্গিকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে টাইমল্যাপসের সাহায্যে, গত ৩৭ বছরে উপগ্রহ কর্তৃক সংগৃহীত প্রায় ২৪ মিলিয়ন ফটো ইন্টারেক্টিভ 4D আকারে প্রদর্শিত হবে বলে সংস্থাটি দাবি করেছে। এছাড়া ওই ব্লগ পোস্ট থেকে আরো জানা গিয়েছে যে, Google, এই ফিচারটি তৈরি করতে পেটাবাইট স্কেল জিওসপ্যাটিয়াল অ্যানালাইসিস ব্যবহার করেছে এবং এটির প্রসেসিংয়ের জন্য ২০ মিলিয়ন ঘন্টা সময় ব্যয় করেছে। ফলস্বরূপ, এই প্রযুক্তিটি ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, উপগ্রহ দ্বারা গৃহীত মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ/নাসা ল্যান্ডস্যাট এবং ইউরোপের সেন্টিনেল প্রোগ্রামের ছবিগুলি ইউজারদের সামনে তুলে ধরবে।