একসময় মানুষ রোপ্য মুদ্রা বা স্বর্ণমূদ্রা দিয়ে লেনদেন করতো। সেই রাজা রাণীদের যুগ পাল্টেছে। এখন মানুষ কাগজের টাকা ব্যবহার করে থাকে তার পছন্দের যে কোন জিনিজ ক্রয় বা বিক্রয় করার জন্য। তবে গত কয়েক দশক থেকে আরেক ধরণের লেনদেন ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়। হয়তো আপনি ইতোমধ্যে তা আন্দাজ করে ফেলেছেন। বন্ধুদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেছেন? কিংবা আপনার দোকানের জন্য পাইকারি মালামাল কিনতে গেছেন? অথবা অন্য দেশে ফেমিলি নিয়ে ঘুরতে গেছেন? এর জন্য কিন্তু আপনাকে পকেট ভর্তি করে আর টাকা বহন করতে হবে না। কেননা আপনার কাছে আছে একটি ক্রেডিট কার্ড। বিষয়টি নিয়ে হয়তো অনেকের ধারণা আছে। আবার অনেকের কাছে ক্রেডিট কার্ড শব্দটা শুধু পরিচিত। তেমন বিস্তারিত জ্ঞান নেই। হ্যাঁ, বন্ধুরা। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ক্রেডিট কার্ড কি এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি।
ক্রেডিট কার্ড কি?
আধুনিক বিশ্বে ক্রেডিট কার্ডকে বলা হয় প্লাস্টিক মানি। এটি এক ধরণের প্লাস্টিক কার্ড। তবে প্লাস্টিক কার্ড এর মধ্যেই কিন্তু এটি সীমাবদ্ধ নয়। ক্রেডিট কার্ড হলো মূলত একটি চিপ-ভিত্তিক প্লাস্টিকের কার্ড (সাধারণত) যাতে ক্রেডিট কার্ডধারীর নাম, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, মেয়াদ শেষ এর তারিখ, সিভিভি, ক্রেডিট কার্ডধারীর স্বাক্ষর এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের বিবরণ, ইত্যাদি তথ্য দেওয়া থাকে।
ক্রেডিট কার্ড মূলত কার্ডধারীর অর্থ ব্যয়ের সুবিধা নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারী যখন কোনো অর্থ প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন উক্ত অর্থ সেভিংস/কারেন্ট একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়না। বরং খরচ করা অর্থ ব্যাংক বা কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে বাকিতে লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ড এর কাজই হচ্ছে ব্যবহারকারীদের বাকিতে লেনদেনের সুবিধা প্রদান করা। প্রতিটি ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া ক্রেডিট লিমিট থাকে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট অংকের লেনদেনের পর আর ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ খরচ করা যায়না। ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করার পর আবার এটি ব্যবহার করা যায়। সাধারণত এক মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরের মাসের কোনো এক সময়ে প্রদান করতে হয়।
ক্রেডিট কার্ড যেভাবে কাজ করে!
কেনাকাটার পর বিল পরিশোধ করতে আপনাকে ক্রেডিট কার্ডটি একটি কার্ড রিডারের ভিতর দিয়ে সোয়াইপ করাতে হবে। তারপর কার্ড রিডার আপনার কার্ডের সিকিউরিটি চিপ্স রিড করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড টার্মিনাল থেকে আপনার কার্ডের ভেলিডিটি এবং ক্রেডিট এমাউন্ট যাচায় করার পর অটোমেটিক পারচেজ করে নিবে। আর যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড ভেলিড না হয়ে থাকে বা যথেষ্ট টাকা না থেকে থাকে তাহলে কার্ড রিডার তা ডিনাই করে দেয়।
তবে অনলাইন এ ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হলে আপনাকে কার্ড নাম্বার, সিকিউরিটি কোড এবং এক্সপায়ার ডেট উল্লেখ করে দিতে হয়। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নাম এবং বিলিং এড্রেসও কাজে লাগে। এভাবে সকল তথ্য দেয়ার পর পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করলেই আগের মত আপনার কার্ডের ভেলিডিটি এবং ব্যালেন্স চেক করে অটো বিল পেমেন্ট নিয়ে নিবে।
ক্রেডিট কার্ড নাম্বার কি?
ব্যাংক থেকে গ্রাহকে আইডেন্টিফিকেশন করার জন্য ষোলো ডিজিটের একটা নাম্বার দেয়া হয়। এই নাম্বারটি গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের উপর লেখা থাকে। এটিই মূলত পেমেন্ট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার। এই নাম্বারটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের সার্ভার এ স্টোর করা থাকে। প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য তার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ইউনিক হয়ে থাকে।
ক্রেডিট লিমিট কীভাবে নির্ধারণ হয়?
অনেক ব্যাংক গ্রাহকের মাসিক আয়ের উপর বেজ করে কার্ডের ক্রেডিট লিমিট দিয়ে থাকে। ধরুন, আপনার মাসিক আয় পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাহলে ব্যংক থেকে আপনি সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা একসাথে ক্রেডিট লিমিট হিসাবে পেতে পারেন। তবে বিভিন্ন ব্যাংক এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু ব্যাংক বেশি ক্রেডিট লিমিট দেয় এবং সুদ এর পরিমাণও বেশি থাকে। এটা একেক ব্যাংক এর নিজস্ব পলিসি এর উপর নির্ভর হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড কি?
আপনার ব্যাংক থেকে ইস্যু করা সিঙ্গেল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড দেশের মধ্যে কাজ করলেও দেশের বাইরে কাজ করবেনা। এজন্য আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড এর প্রয়োজন পড়ে। এগুলো সাধারণত ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড হয়ে থাকে। এতে কারেন্সি হিসেবে বাংলাদেশি টাকা এবং মার্কিন ডলার থাকে (মোট দুটি কারেন্সি বা মুদ্রা)। তবে ব্যাংকভেদে আপনি হয়তো ইউরো বা অন্যান্য মুদ্রাও কারেন্সি হিসেবে নিতে পারেন।
আপনি সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা কার্ড সেবাদাতা প্রতিনিধিকে জানালেই তারা আন্তর্জাতিক কার্ড এর আবেদন পত্র দিবেন। তবে বিদেশী মুদ্রা যেমন ডলার খরচ করতে চাইলে আগে আপনার পাসপোর্টের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার এন্ডোর্স করাতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই গ্রহণযোগ্য। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড আপনার দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে করা খরচের উপায়কে আরো সহজ করে দেয়।
ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে পার্থ্যক্য কি?
এক্ষেত্রে প্রথমেই সহজ দুটি কথা আপনাকে আগে বলে রাখতে চাই, এককালীন এবং সমকালীন। ক্রেডিট কার্ড হলো এককালীন, অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার খরচকৃত টাকা একসাথে মাসের শেষে পেমেন্ট করতে হয়। তবে গ্রাহক ব্যাংক থেকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার মঞ্জুরকৃত ঋণ পায়, সেটুকুই ব্যবহার করতে পারে।
অন্যদিকে, ডেবিট কার্ড হলো ইন্সটেন্ট পেমেন্ট সিস্টেম। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয় করলে আপনাকে সাথে সাথেই টাকা পেমেন্ট করতে হয়। অর্থাৎ ডেবিট কার্ড অনেকটা ক্যাশ কার্ড এর মত কাজ করে। আর অপরপক্ষে ক্রেডিট কার্ডকে অনেকটা লোন কার্ড বলা চলে।
আর ডেবিট কার্ডে সাথে গ্রাহকের একটি একাউন্টের লিঙ্ক করা থাকে। সেই একাউন্টে যে পরিমাণ ব্যালেন্স থাকে, গ্রাহক শুধু সেটুকুই ব্যবহার করতে পারে। বিপরীতে, ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাংক যে পরিমাণ টাকা গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ করে দেয় অর্থাৎ ঋণ মঞ্জুর করে থাকে, গ্রাহক শুধু সেই পরিমাণ টাকা খরচ করতে পারেন। আশা করি, বিষয়টি এখন আপনার কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড কি কি কাজে লাগে?
এতক্ষণে যদি আপনি ক্রেডিট কার্ডের ধারণা ঠিকমত বুঝতে সক্ষম হন, তাহলে বোধহয়, এর কার্যকারিতা কীরূপ হতে পারে, তা আপনার আন্দাজ করতে আর বাকি থাকবে না। কেননা এর পরিচিতিই আমাদের জানিয়ে দেয়, কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারি। নিম্নে ক্রেডিট কার্ডের কিছু সুবিধার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো ।
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
নিমেষেই লেনদেন : ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ব্যবস্থা অনেক দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব। তাছাড়া ধরুন, আপনি অনলাইনে বা মার্কেটে গিয়ে একটি জিনিস পছন্দ করে ফেললেন। কিন্তু ঝামেলা বাধলো, জিনিসটির দাম নিয়ে। এত টাকা আপনার কাছে এখন নেই। আবার আপনি কারো কাছে সেটা ধারও নিতে পারছেন না। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যেটি সাহায্য করবে সেটি হলো ক্রেডিট কার্ড। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই এবং দ্রুত মূল্য পরিশোধ করে দিতে পারছেন। আর মাস শেষে আপনার ইচ্ছে মতো কার্ডের বিল পরিশোধ করবেন। এতে ঋণের বোঝা কিছুট কম মনে হবে। তবে খরচ করার সময় নিজের বিচার-বিবাচনাকে কাজে লাগানো উচিত। কেননা মাস শেষে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আপনাকে বড় মাপের জরিমাণা গুনতে হতে পারে।
অর্থ সুরক্ষা : পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরলে চুরি হবার সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়। আবার প্রতারণা বা একই খরচ বার বার করার থেকেও আপনি নিরাপত্তা পেতে পারেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনার ক্রেডিট কার্ডও যদি কোনভাবে হারিয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে ব্যাংক এ ইনফর্ম করলে আপনার আর কোন চিন্তা নেই। এরপর আপনার কার্ড থেকে খরচ হলেও সেটা আপনাকে আর বহন করতে হবে না।
নিয়মিত আকর্ষণীয় পুরস্কার : নিয়মিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে এবং লেনদেন এর ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান যদি ভালো হয়ে থাকে, তবে ব্যাংক কর্তৃক আপনি কিছু পুরস্কার পয়েন্ট পাবেন। আকাশপথে বিনামূল্যে ভ্রমণ, মূল্য ফেরত পয়েন্ট ইত্যাদি হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যরকম কিছু প্রলুব্ধকর বিষয়।
বিশেষ ছাড় : ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে আপনি প্লেনের টিকিট বা দেশের বাইরে অনেক হোটেলে বিশেষ একটা মূল্য ছাড় পেতে পারেন। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সময় ক্যাশ ব্যাক অফার এবং স্পেশাল ডিসকাউন্ট এর সুবিধা পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা
এই পৃথিবীতে কোনকিছুই পারফেক্ট নয়। সবকিছুরই কোন না কোন লিমিটেশন থাকবেই। তাই ক্রেডিট কার্ড ও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে ক্রেডিট কার্ডের এমন কিছু অসুবিধা সমূহ উল্লেখ করা হলো ।
অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রবণতা : টিকেই ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহার এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মাসের শুরুতে এমন হারে খরচ করা শুরু করে , যে মাস শেষের দিকে খাওয়া পরার টাকাও বাকি থাকে না। তাই কেনাকাটার সময় আপনার মিতব্যয়ীতার দিকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত।
বার্ষিক সুদ : আপনি যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন, তবে হয়তো জেনে থাকবেন, সুদ দেয়া নেয়া দুটোই সমান অপরাধ। আর তাছাড়া, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে সুদ বহন করাও অনেকটা হিমশিম হয়ে যায়।
অন্যান্য ফি : মাসিক সুদ ছাড়াও ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক হারে কিছু ফি এবং চাদা প্রদান করতে হয়। যেমনঃ দেরিতে পরিশোধের ফি, ওভারড্রাফট ফি কিংবা ব্যালেন্স ট্রান্সফার ফি ছাড়াও আরো অনেক রকম খরচাদি। এছাড়াও কার্ড থেকে নগদ অর্থ তুলতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট হারে ফি প্রদান করতে হবে।
ঋণের ঝুকি : ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি সবসময়ই ঋণী থেকে যাচ্ছেন। আর খরচ করলে তা পরিশোধ করতেই হবে। ঋণ পরিশোধ না করতে পারার একটা দুশ্চিন্তা আপনার মাঝে কাজ করতে পারে। কেননা সময়মত ঋণ শোধ করতে না পারলে ব্যাংক থেকে সুদ এর পরিমাণ বাড়তেই থাকবে আর আপনার অর্থের বোঝা ভারি হবে।
জরিমানা : আপনি যদি সময়মত ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট হারে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। তাছাড়া, ক্রেডিট লিমিট ক্রস করলেও একটি নির্দিষ্ট অর্থ আপনাকে ব্যাংকে পরিশোধ করতে হয়। তাই সময়জ্ঞান ভালো না থাকলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করাই ভালো।
আপনি বুঝতেই পারছেন, পুরো ব্যাপারটা আপনার নিজের উপরই। আপনি যদি সঠিকভাবে নিয়মমেনে সঠিক কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে আপনাকে তেমন কোন ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে না।ক্রেডিট কার্ড কীভাবে পাবো?আপনিও যদি নিজের জন্য একটি ক্রেডিট কার্ড করে নিতে চান, তবে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত আপনার একটি স্টিডি ইনকাম সোর্স থাকতে হবে। সেটা হতে পারে, কোন সরকারি বা বেসকরকারি চাকরি অথবা স্থিতিসম্পন্ন কোন ব্যবসা। আবার আপনি যে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, সেখানে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকাটাও জরুরি।
এসব ছাড়াও আপনার অন্যান্য কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে। যেমনঃ জাতীয় পরিচয় পরিচয় পত্র, টিন সার্টিফিকেট, ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স, ৩ মাসের ব্যংক ট্রাঞ্জেকশন স্টেট্মেন্ট, আর চাকরিজীবীদের জন্য এপয়েন্টমেন্ট লেটার বা সেলারি সার্টিফিকেট লাগবে। এসব ছাড়াও নির্দিষ্ট ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী আপনাকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে এবং অতিরিক্ত কিছু কাগজ জমা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে। আপনি ক্রেডিট কার্ড পেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।
সঠিক ক্রেডিট কার্ড কীভাবে চিনবেন?
একেক জনের জন্য একেক প্রকার ক্রেডিট কার্ড সুবিধাজনক হতে পারে। তাছাড়া ক্রেডিট কার্ডের ভালো অফার এবং ডিসকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু দিক মাথায় রেখেই ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করতে হবে। যেমনঃ ক্রেডিট কার্ডের খরচের সীমা অর্থাৎ ক্রেডিট লিমিট, আপনার খরচের ধরণ, ক্রেডিট কার্ডের বিলিং সাইকেল পিরিয়ড বা বিল পরিশোধের শেষ তারিখ, ক্রেডিট কার্ডের মাসিক সুদের হার, কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিবেন তার সুবিধা অসুবিধা এসব দিক আপনাকে মাথায় রেখে একটি ভালো মানের এবং আপনার জন্য সুবিধাজনক ক্রেডিট কার্ড বাছায় করতে পারেন। এছাড়াও সবশেষে আপনি আরেকটী কাজ করতে পারেন। তা হলো, আপনি যে ক্রেডিট কার্ডটি নিচ্ছেন, তা অন্যান্য ব্যাংকের সাথে তুলনা করে দেখা। কেননা একেক ব্যাংকে তাদের নিজস্ব পলিসি অনুযায়ী একেক রকম সুবিধা অসুবিধা থাকে । এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ব্যাংকের কল সেন্টার বা অয়েবসাইটের সহয়তা নিতে পারেন।
শেষ কথা
আশা করি, আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ডের সকল বিষয়ে একটু হলেও নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। এরকম নিত্য নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।