বঙ্গবন্ধু টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন : মন্ত্রী
১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যসম্মত বার্ধ্যক্যের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি।
ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেছেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন।
এর ফলে শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ১৯৬৯ সালে বিশ্বে শুরু হওয়া ইন্টারনেটভিত্তিক শিল্পবিপ্লব।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যান্ত্রিক যুগের শিল্পায়নেও যুক্ত ছিলাম না। ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বঙ্গবন্ধু বপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে চারা গাছে পরিণত হয়। ২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে ও গত সাড়ে তের বছরের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।
করোনাকালে প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করেছে। ডিজিটাল সংযোগ করোনায় থমকে যাওয়া জীবনধারা সচল রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বে ডিজিটাল সক্ষমতার নজির স্থাপন করেছে। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এমনকি দুর্গম দ্বীপ, চর ও হাওড়াঞ্চলেও ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি দেওয়ার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুঃখ-কষ্ট, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।