দিন দিন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। যার কারণ হিসেবে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে যানবাহনকে। জ্বালানি তেলে চলার ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে সেই নিয়ে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। জনপ্রিয়তা বাড়ছে ব্য়াটারি চালিত যানবাহন ও ইলেকট্রিক গাড়ির। এই পরিস্থিতিতে বাজারে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক গাড়ি এনেছে Tesla। কম পয়সায় পুষ্টিকর গাড়ি বিশ্বের নানা প্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, Mahindra গ্রুপের চেয়ারম্যান এ ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অন্য এক পদ্ধতির কথা বলেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভ আনন্দ মাহিন্দ্রা। নানা সময়ে নানা ধরনের ছবি, ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। বিভিন্ন ট্যুইটের রিপ্লাইও দেন নানা সময়ে। সম্প্রতি ট্যুইটারে গরুর গাড়ির একটি ভিডিও পোস্ট করেন আনন্দ। যাতে দেখা যাচ্ছে পিছনে হাফ-ট্যাক্সির মতো একটি খোল, যা টানছে দু’টো ষাঁড়। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, তাঁর মনে হয় না এই গাড়ির যা কম খরচা, সেই খরচায় কোনও গাড়ি বের করতে পারবে Tesla বা Elon Musk।
ট্যুইটটি করার সঙ্গে সঙ্গেই তা চোখে পড়ে নেটিজেনদের। সকলে ট্যুইটের উত্তর দিতে শুরু করে। এ নিয়ে Tesla-র থেকে কোনও উত্তর এসেছে কিনা জানা যায়নি তবে, বেশ মজার মজার রিপ্লাই পেয়েছেন আনন্দ। অনেকে তাঁর এই গরুর গাড়ির অভিনব পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। অনেকে লিখেছেন, এই গাড়ি থেকে আবার শক্তি ও জ্বালানিও উৎপন্ন হতে পারে। যা আমাদের অতি-পরিচিত প্রাচীন বায়োগ্যাস। তবে, বাস্তবে গরুর গাড়ি আর ইলেক্ট্রিক গাড়ির মধ্যে তুলনা হয় না। দু’টোর ধরন আলাদা। কাজ আলাদা। গরুর গাড়ির চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে চলছে পারে ইলেক্ট্রিক গাড়ি। বিশেষ করে Tesla যে ধরনের গাড়ি বানিয়েছে, তাতে তা অন্যান্য যে কোনও জ্বালানি গাড়িকেই টেক্কা দিতে পারে।
তাই বোঝাই যাচ্ছে, রসিকতার জন্যই এই ট্যুইটটি করেন আনন্দ। তবে, অবশ্যই রসিকতার ছলে বায়ুদূষণ আটকানোর একটা প্রচেষ্টা প্রকাশ পায়। শুধু Tesla বা Elon Musk-ই নয়, বায়ু দূষণ কমাতে বাজারে এই ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ি আনার চেষ্টা করছে অন্যান্য সংস্থাও। কিন্তু কোনও সংস্থাই সে ভাবে এখনও সফল হয়নি!
তথ্য সূত্র: বাংলা নিউস ১৮